হলমার্ক কেলেঙ্কারি এবার এসআইবিএলের ২০ কর্মকর্তাকে দুদকের তলব

হলমার্ক কেলেঙ্কারি এবার এসআইবিএলের ২০ কর্মকর্তাকে দুদকের তলব

হলমার্কের ঋণ কেলেঙ্কারির ঘটনায় ‘নন ফান্ডেড’ ঋণে কারসাজির অভিযোগে বেসরকারি সোস্যাল ইসলামী ব্যাংক লিমিটেডের(এসআইবিএল) ২০ কর্মকর্তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।

বৃহস্পতিবার ২০ কর্মকর্তাকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য দুদকের প্রধান কার্যালয় থেকে নোটিশ পাঠানো হয়েছে। বাংলানিউজকে দুদকের উপ-পরিচালক (জনসংযোগ) প্রনব কুমার ভট্ট‍াচার্য এ তথ্য নিশ্চিত করেন।

প্রনব জানান, ২০ ও ২১ জানুয়ারি ৭ জন করে মোট ১৪ জনকে এবং ২২ জানুয়ারি ছয়জনকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে।

যাদের তলব করা হবে তাদের মধ্যে তদন্ত টিম যে কয়েকজনের নাম নিশ্চিত করেছেন তারা হলেন- এসআইবিএলের দনিয়া রসুলপুর শাখার ম্যানেজার মো: মনিরুল ইসলাম, সিনিয়র এক্সিকিউটিভ অফিসার মো: সলিমুল্লাহ, অফিসার ফাতেমাতুজ-জোহরা ও আনোয়ার হোসেন, নারায়নগঞ্জ শাখার সিনিয়র অফিসার মাহবুবুর রহমান, ফার্স্ট অ্যাসিসটেন্ট ভাইস প্রেসিডেন্ট গাজী নাজমুল আলম ও মো: শাহীন হোসেন প্রমূখ।

দুদক জানায়, হলমার্কসহ টি অ্যান্ড ব্রাদার্স, ডিএন স্পোর্টস, প্যারাগন গ্রুপ, নকশী নিট, খান জাহান আলী গ্রুপসহ কয়েকটি প্রতিষ্ঠানকে ঋণ পেতে সহযোগিতা করেন এসআইবিএলসহ প্রায় ৩০টি ব্যাংকের কর্মকর্তারা। এলসির বিপরীতে পণ্য সরবরাহকারী বিভিন্ন নামসর্বস্ব প্রতিষ্ঠান দেখিয়ে ঋণ নেয় এসব প্রতিষ্ঠান। আদতে এসব প্রতিষ্ঠান কোনো পণ্য সরবরাহ করেনি। তবে পণ্য সরবরাহের সপক্ষে ভুয়া কাগজপত্রের ভিত্তিতে বিল তৈরি করা হয়।

জানা গেছে, সোনালী ব্যাংকের রূপসী বাংলা হোটেল শাখা থেকে সোনালী ব্যাংকের রূপসী বাংলা হোটেল (সাবেক হোটেল শেরাটন) শাখা থেকে হলমার্ক মোট দুই হাজার ৬৮৬ কোটি ১৪ লাখ টাকা আত্মসাৎ করে। এর মধ্যে স্বীকৃত বিলের বিপরীতে পরিশোধিত (ফান্ডেড) অর্থ হচ্ছে এক হাজার ৫৬৮ কোটি ৪৯ লাখ ৩৪ হাজার ৮৭৭ টাকা এবং নন ফান্ডেড হলো এক হাজার একশত সতের লাখ টাকা।

এ ঘটনায় জড়িত সন্দেহে জনতা ব্যাংকের জিএম, ডিজিএমসহ অর্ধ শতাধিক কর্মকর্তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে। একই ঘটনায় এবার এসআইবিএলের সন্দেহভাজন কর্মকর্তাদের জিজ্ঞাসাবাদের উদ্যোগ নিয়েছে দুদক।

গতবছরের ৪ অক্টোবর ফান্ডেড টাকা আত্মসাতের অভিযোগে  সোনালী ব্যাংক ও হলমার্কের ২৭ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে ১১টি করে দুদক। এছাড়া গত ১ জানুয়ারি ফান্ডেড প্রায় সাড়ে তিনশত কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগে ৩৫ জনের বিরুদ্ধে ২৬টি মামলা করে দুদক। যে পাঁচটি প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে মামলা করা হয় সেগুলো হলো- টি এ্যান্ড ব্যাদার্স, প্যারাগন নীট এ্যান্ড কম্পোজিট, খানজাহান আলী সোয়েটার, নকশী নীট কম্পোজিট এবং ডিএন স্পোটর্স। মামলায় এই পাঁচটি প্রতিষ্ঠানের মালিক, কর্মকর্তা এবং সোনালী ব্যাংকের উচ্চপর্যায়ের কর্মকর্তারা রয়েছেন। এখন নন ফান্ডেড টাকা আত্মসাতের অভিযোগে তদন্ত শুরু করেছে দুদক।

 

অর্থ বাণিজ্য বাংলাদেশ শীর্ষ খবর