রাজধানীর শাহআলী থানা এলাকার কমার্স কলেজ সংলগ্ন ঝিলপাড়ের বস্তিতে ধর্ষণের পর হত্যাকাণ্ডের শিকার স্কুলছাত্রীর লাশ ময়না তদন্তের পর রোববার তার বাসায় নিয়ে যাওয়া হয়েছে। লাশ এলাকায় পৌঁছানোর পরপরই এলাকাবাসী বিক্ষুব্ধ হয়ে ওঠেন। তারা বিকেল থেকে এখন পর্যন্ত শাহআলী থানা ঘিরে বিক্ষোভ করছেন।
শনিবার সন্ধ্যায় শাহআলী থানা পুলিশ স্কুলছাত্রী চাঁদনীর (১০) লাশ ঝুলন্ত অবস্থায় উদ্ধার করে। পরে সুরতহাল রিপোর্ট থেকে জানা যায়, ধর্ষণের পর তাকে হত্যা করা হয়। মেয়েটি চতুর্থ শ্রেণীতে পড়তো।
চাঁদনী শাহআলী থানা এলাকার কমার্স কলেজ সংলগ্ন ঝিলপাড় বস্তির বাসিন্দা পরিবহন শ্রমিক বাবুল মিয়া ও নার্গিস বেগমের মেয়ে। তবে বাংলানিউজে নিহতের ছদ্মনাম হিসেবে নিরুপমা ব্যবহার করা হয়েছিল।
রোববার বিকেল ৪টায় ঢাকা মেডিকেল কলেজে ময়না তদন্ত শেষে নিহত চাঁদনীর লাশ শাহআলী থানা এলাকার কমার্স কলেজ সংলগ্ন খেয়াঘাট এলাকায় ভাড়া বাসায় নিয়ে যাওয়া হয়। এ সময় বিক্ষুব্ধ এলাকাবাসী ধর্ষকদের গ্রেফতার করে শাস্তির দাবিতে শাহআলী থানা ঘেরাও করেন।
এলাকাবাসী জানান, ওই ঘটনায় যারা জড়িত তাদের আটক করা না হলে থানার সামনে তারা অবস্থান নিয়ে আবারো বিক্ষোভ করবেন।
বিকেলে চাঁদনীর মৃতদেহ ওই এলাকায় এসে পৌঁছালে এলাকাবাসী প্রথমে লাশ নিয়ে মিছিল বের করার চেষ্টা করেন। পরে তারা নিহতের মৃতদেহ নিয়ে রূপনগর এলাকায় তাদের বাড়িতে গিয়ে দাফনের জন্য গোসল করান। তবে এখনও দাফন হয়নি।
তাকে শাহআলী থানা এলাকায় দাফন করার কথা রয়েছে।
ঘটনার সঙ্গে জড়িত ও ধর্ষকদের বিচারের দাবিতে এলাকার হাজার হাজার মানুষ এখনও শাহআলী থানা ঘেরাও করে বিক্ষোভ করছেন।
নিহতের বাবা বাবুল মিয়া বলেন, “এ ঘটনায় যারা জড়িত, তাদের শিগগিরই আটক করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানাচ্ছি।”
বিক্ষুব্ধ এলাকাবাসীর অবরোধের কারণে থানা এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।
এ ঘটনায় শাহ আলী থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে একটি মামলা হয়েছে।