জ্বালানি তেলের মূল্যবৃদ্ধির প্রতিক্রিয়ায় বিশিষ্ট লেখক ও কলামনিস্ট সৈয়দ আবুল মকসুদ বলেছেন, জ্বালানির দাম বৃদ্ধিতে জনগণকে খেসারত দিতে হবে। জনগণকে এতোটা ক্ষতিগ্রস্ত করবে যে তা সরকারের জন্য ক্ষতির কারণ হবে। নির্বাচনী রাজনীতিতে এর মূল্য দিতে হবে সরকারকে। মানবজমিন অনলাইনকে দেয়া প্রতিক্রিয়ায় তিনি বলেন, মাত্র চার বছরে ৭ বার জ্বালানি তেলের দাম বাড়ালো সরকার। এই বৃদ্ধিতে জনগণের উপর য়ে প্রতিক্রিয়া হচ্ছে তার একটা অর্থনৈতিক দিক আছে। জ্বালানির দাম বৃদ্ধির ফলে কৃষিতে একটা বিরুপ প্রভাব পড়বে। শিল্প কারখানা বিরূপ প্রভাব পড়বে। সবমিলিয়ে এর খেসারত জনগণকে দিতে হবে। তবে বিরোধী দল গুলো যেহেতু একে রাজনৈতিক ভাবে ব্যাবহার করছে। তাই এটা নির্বাচনে প্রভাব ফেলবে। তবে নির্বাচনে কে জিতবে, কে হারবে তাতে তো জনগণের কিছু যায় আসে না। দেশের রাজনৈতিক সংলাপের ব্যাপারে দু’দলের অবস্থানের সমালোচনা করে তিনি বলেন, দুই দল দুই রকম বলছে। আমরা কাকে বিশ্বাস করবো? আমরা দুই পক্ষকেই বিশ্বাস করতে চাই। এখন সরকারকেও স্পষ্ট করতে হবে যে সংলাপ হচ্ছে। সংলাপ আড়ালে আবডালে হতেই পারে। তবে সেটা কোন পর্যায়ে হচ্ছে, তার ফলাফল কি তা স্পষ্ট করতে হবে সরকারকে। বিরোধী দলকেও স্পষ্ট করতে হবে যে সংলাপ হচ্ছে না। এভাবে মেঠো কথা বলে সংকীর্ণ রাজনীতি করার কোন সুযোগ নেই। নাগরিক সমাজের পরামর্শে প্রধানমন্ত্রীর প্রতিক্রিয়ার ব্যাপারে মতামত জানতে চাইলে তিনি বলেন, বৃদ্ধিজীবী বা নাগরিক সমাজের পক্ষ থেকে কোন পরামর্শ আসতেই পারে। তাতে তীব্র প্রতিক্রিয়া জানানোর কিছু নেই। মতপ্রকাশের স্বাধীনতা যেহেতু আছে। সেহেতু এরকম পরামর্শ আসতেই পরে। এটাতো বরং ভালো।