বাংলাদেশের সঙ্গে ভারতের তিস্তা পানিবণ্টন চুক্তি সম্পাদনের ব্যাপারে এখনো সায় দেয়নি পশ্চিমবঙ্গ সরকার। গতকাল শুক্রবার ভারতের রাজধানী নয়াদিল্লিতে জাতীয় পানিসম্পদ কাউন্সিলের এক বৈঠকে এ ব্যাপারে আশাব্যঞ্জক সাড়া পাওয়া যায়নি।
বৈঠকে পশ্চিমবঙ্গ সরকারের প্রতিনিধিত্ব করেন রাজ্যের সেচ ও পানিসম্পদ উন্নয়নমন্ত্রী রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়। বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিং, কেন্দ্রীয় পানিসম্পদ উন্নয়নমন্ত্রী হরিশ রাওয়াতসহ বিভিন্ন রাজ্যের প্রতিনিধিরা।
বৈঠকে রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায় পশ্চিমবঙ্গ সরকারের অবস্থান স্পষ্ট জানিয়ে দেন। তিনি বলেন, রাজ্যের স্বার্থ ক্ষুণ্ন করে তিস্তার পানিবণ্টন-সংক্রান্ত আন্তর্জাতিক চুক্তি সম্পাদন করা যাবে না।
কেন্দ্রীয় পানিসম্পদ উন্নয়নমন্ত্রী হরিশ রাওয়াত বলেন, তিস্তার পানিবণ্টন নিয়ে পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য সরকারের ভাবনাকে কখনো অবহেলা করা হবে না। প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিংও জানিয়ে দেন, পশ্চিমবঙ্গকে এড়িয়ে তিস্তার পানিবণ্টন চুক্তি করবে না কেন্দ্রীয় সরকার।
এদিকে তিস্তা চুক্তির জন্য পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে রাজি করাতে বৈঠকে বসতে পারেন ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী সালমান খুরশিদ। তিনি চাইছেন, অবিলম্বে তিস্তাসহ সীমান্ত ও ছিটমহলসংক্রান্ত সমস্যার দ্রুত সমাধান। তাই আগামী মাসে বাংলাদেশ সফরের আগেই সালমান বৈঠকে বসতে চান মমতার সঙ্গে।
গত বছর ভারতের প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিংয়ের বাংলাদেশ সফরে তিস্তা চুক্তি স্বাক্ষরের কথা থাকলেও শেষ মুহূর্তে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের আপত্তিতে সেই চুক্তি আর হয়নি।