দুই নেত্রীর সমালোচনাকারীদের বক্তব্যের পেছনে ‘অসৎ উদ্দেশ্য’ থাকার ইঙ্গিত দিয়েছেন বিএনপি স্থায়ী কমিটির সদস্য রফিকুল ইসলাম মিয়া
শুক্রবার সন্ধ্যায় রাজধানীতে এক আলোচনা সভায় তিনি বলেন, “যারা দুই নেত্রীকে খারাপ বলছেন তাদেরকে আমার সন্দেহ হয়। তারা আরেকটি আঁতাত করার চেষ্টা করছেন।”
সুপ্রিম কোর্ট বার অ্যাসোসিয়েশন মিলনায়তনে ‘মুক্তিযুদ্ধ ও বিজয় দিবস’ শীর্ষক এ আলোচনার আয়োজন করে ডিফারেন্ট অ্যাড ফার্ম।
গত ২৬ ডিসেম্বর এক আলোচনা সভায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অাইন বিভাগের অধ্যাপক আসিফ নজরুল দুই নেত্রী সম্পর্কে বলেন, “এমন না আমি এরশাদকে গ্লোরিফাই করছি। আমি বলার চেষ্টা করছি- একজন সামরিক শাসক, যাকে আমরা এত সমালোচনা করি, তার চেয়েও এরা খারাপ, দুই নেত্রী।”
এরশাদের সামরিক শাসনকে ‘গ্লোরিফাই’ করছেন না বলার আগেই তিনি বলেন, তখন দেশের শিল্প, সংস্কৃতি ও সাহিত্যেও একটা উল্লেখযোগ্য ‘জোয়ার’ এসেছিল।
নিউ ইয়র্ক থেকে প্রকাশিত সাপ্তাহিক ‘আজকাল’ এর আয়োজনে সেই গোলটেবিল আলোচনার শিরোনাম ছিল- ‘দুই নেত্রীর ওপর দায় চাপিয়ে কি দেশের গণতন্ত্র রক্ষা হবে?’
পাঁচ বছর আগে দুই নেত্রীকে রাজনীতি থেকে বিদায়ের এক চেষ্টা হয়েছিল। নতুন নির্বাচন নিয়ে রাজনীতিতে উত্তাপের মধ্যে এই গোলটেবিল বৈঠক হওয়ার আগে হিযবুত তাহরীরের মতো জঙ্গি সংগঠনের পাশাপাশি নতুন একটি সংগঠনও দুই নেত্রীকে বিদায় দেয়ার দাবি তুলেছে।
দেশের প্রথম সংসদে আওয়ামী লীগের প্রতিনিধিত্বকারী এ বি এম মুসাও সেই গোলটেবিল আলোচনায় দুই নেত্রীর সমালোচনা করেন।
ওই প্রসঙ্গ টেনে ব্যারিষ্টার রফিকুল ইসলাম বলেন, “কোন ভাবেই দুই নেত্রীর চেয়ে গণতন্ত্র হত্যাকারী এরশাদ ভালো হতে পারে না। তাই তাকে (এরশাদকে) সবাই বিশ্ব বেহায়া হিসেবে আখ্যায়িত করেছে।”
বিএনপি ‘যুদ্ধাপরাধীদের বিচার চায়’ এ দাবি করে তিনি অরো বলেন, কিন্তু আপনারা তা না করে মানবতা বিরোধীদের বিচার করছেন।
“আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইবুন্যালকে প্রশ্নবিদ্ধ করেছে তাদের (আওয়ামী লীগ) নিজেদের লোকজন এবং ভবিষ্যতে এর দায় আওয়ামীলীগকেই নিতে হবে।”
যুদ্ধারাধীদের ‘বাঁচাতে নয়’ বরং তত্বাবধায়ক সরকারের দাবিতেই বিএনপি আন্দোলন করছে বলেও জানান এই নেতা।
সুপ্রিম কোর্ট বারের সভাপতি জয়নুল আবেদিন, অপরাজেয় বাংলাদেশের চেয়ারম্যান ফরিদা বানু শহীদুল্লাহ, জহির উদ্দিন বাবুল প্রমুখ এ আলোচনা সভায় উপস্থিত ছিলেন।