পদ্মাসেতুর পরামর্শক নিয়োগে দুর্নীতির ষড়যন্ত্র মামলায় প্রধান দুই আসামি সেতু বিভাগের সাবেক সচিব মোশাররফ হোসেন ভূঁইয়া ও সেতু কর্তৃপক্ষের নদী শাসন বিভাগের তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী কাজী মো. ফেরদৌসকে আটক করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।
বুধবার দুপুর ১টা ৫০ মিনিটে হাইকোর্ট থেকে বের হওয়ার পর গণপূর্ত ভবনের সামনে থেকে উইং কমান্ডার মো. তাহিদুল ইসলামের নেতৃত্বে দুদকের একটি দল তাদের আটক করে।
এর আগে বুধবার সকালে ওই মামলায় জামিন নিতে হাইকোর্টে এসেছিলেন তারা।
বুধবার হাইকোর্টের অবকাশকালীন বিচারপতি মো. রেজাউল হক ও বিচারপতি কাজী মো. ইজারুল হক আকন্দের বেঞ্চ এ দু’জনের জামিন আবেদনের শুনানি নাকচ করে আবেদনটি নিয়মিত বেঞ্চে উত্থাপন করতে বলেন। এরপর হাইকোর্ট থেকে ফেরার পথে আটক হন তারা।
আটকের বিষয়টি বাংলানিউজকে নিশ্চিত করেন দুদকের উইং কমান্ডার মো. তাহিদুল ইসলাম নিজেই।
আটকের আগে এ টিমের নেতৃত্বে থাকা তাহিদুল ইসলাম বাংলানিউজকে বলেন, “আসামিদের আইনের কাছে সোপর্দ করতে গ্রেফতার অভিযান চলছে। যে কোনো সময় আসামিরা গ্রেফতার হতে পারেন।”
আটকের পর দুপুর ২টায় সেগুনবাগিচায় দুদকের প্রধান কার্যালয়ে নিয়ে আসা হয় দুই আসামি মোশাররফ হোসেন ভূঁইয়া ও কাজী মো. ফেরদৌসকে।
গত ১৭ ডিসেম্বর পদ্মাসেতু দুর্নীতির মামলায় সাতজনের বিরুদ্ধে রাজধানীর বনানী থানায় মামলা দায়ের করে দুদক।
মামলায় মোট আসামি করা হয় সাতজনকে। এর মধ্যে বাংলাদেশের চারজন হচ্ছেন- সাবেক সেতুসচিব মোশাররফ হোসেন ভূঁইয়া, সেতুর ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান নিয়োগে দরপত্র মূল্যায়নে গঠিত কমিটির সদস্য সচিব কাজী মো. ফেরদৌস, সড়ক ও জনপথ বিভাগের (সওজ) নির্বাহী প্রকৌশলী রিয়াজ আহমেদ জাবের, ইঞ্জিনিয়ারিং এন্ড প্ল্যানিং কনসালট্যান্ট লিমিটেডের (ইপিসি) উপ-পরিচালক মো. মোস্তফা।
এছাড়া কানাডার নাগরিক তিন বিদেশি আসামি হচ্ছেন, এসএনসি লাভালিনের সাবেক পরিচালক (আন্তর্জাতিক প্রকল্প বিভাগের) মোহাম্মদ ইসমাইল, সাবেক ভাইস প্রেসিডেন্ট রমেশ শাহ ও কেভিন ওয়ালেস।
এজাহারের বর্ণনায় সাবেক যোগাযোগমন্ত্রী সৈয়দ আবুল হোসেন ও সাবেক পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী আবুল হাসান চৌধুরীকে ‘সন্দেহভাজন’ উল্লেখে করে আসামির তালিকা থেকে বাদ দেওয়া হয়।