রয়টার্সের বিশ্লেষণ মনমোহন সরকারের ভাগ্য নির্ধারণকরবে ‘মিত্ররা’

রয়টার্সের বিশ্লেষণ মনমোহন সরকারের ভাগ্য নির্ধারণকরবে ‘মিত্ররা’

ভারতের ক্ষমতাসীন জোটের প্রধান দল কংগ্রেস সভানেত্রী সোনিয়া গান্ধী গত সপ্তাহে একটি অভাবনীয় ঘটনা ঘটিয়েছেন। পার্লামেন্ট চলাকালে তিনি বসেছিলেন সামনের দিকের নির্ধারিত আসনে। হঠাৎ লাফিয়ে উঠে পেছনের সারিতে বসা এক আইনপ্রণেতার হাত চেপে ধরেন। তাঁর হাত থেকে একটি নথি কেড়ে নেওয়ার চেষ্টা করেন। কিন্তু এতে ব্যর্থ হন তিনি। ওই আইনপ্রণেতা নথিটি দ্রুত ছিঁড়ে ফেলেন। তিনি আবার এক মন্ত্রীর হাত থেকে ওই নথি ছিনিয়ে নিয়েছিলেন।
এই নাটক মঞ্চস্থ হতে এক মিনিটেরও কম সময় লেগেছিল। কিন্তু এতেই ধরা পড়েছে কংগ্রেসের সঙ্গে তাদের মিত্র সমাজবাদী পার্টির (এসপি) মতভিন্নতা ও সরকারের নাজুক অবস্থা। সোনিয়া গান্ধী যে আইনপ্রণেতার হাত থেকে নথি ছিনিয়ে নিতে চেয়েছিলেন, তিনি ছিলেন এসপির সদস্য।
শরিক হারিয়ে সংসদে প্রায় সংখ্যালঘু হয়ে পড়েছিল প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিংয়ের নেতৃত্বাধীন সংযুক্ত প্রগতিশীল মোর্চা বা এনডিএ সরকার। সরকার টিকিয়ে রাখতে তাদের এখন নির্ভর করতে হচ্ছে এমন সব দলের সমর্থনের জন্য, যাদের ওপর নির্ভর করা যায় না, যেমন এসপি। তারা শুধু যে সরকারের অর্থনৈতিক সংস্কার প্রক্রিয়ায় বাধা সৃষ্টি করবে তাই নয়, সরকারকে ক্ষমতা থেকে সরিয়ে আগাম নির্বাচনের ব্যবস্থাও করতে পারে। ভারতে ২০১৪ সালে সাধারণ নির্বাচন হওয়ার কথা রয়েছে।
সানডে গার্ডিয়ান পত্রিকার প্রধান সম্পাদক এম জে আকবর বলেন, ‘শরিক দলগুলো সরকারকে আগাম নির্বাচনে বাধ্য করতে পারে।’
ভারতের সবচেয়ে জনবহুল রাজ্য উত্তর প্রদেশের জনপ্রিয় দল এসপি। কংগ্রেসের সঙ্গে তাদের সখ্য আছে, বিভিন্ন সময় দলটি কংগ্রেসকে সমর্থন দেয়। কিন্তু সম্প্রতি সরকারের একটি পদক্ষেপে তারা বেজায় চটেছে। নিম্নবর্ণের লোকদের নিয়ে পার্লামেন্টে একটি বিল এনেছিল উত্তর প্রদেশের আরেক বড় দল বহুজন সমাজ পার্টি (পার্টি)। ওই বিলে সমর্থন দেয় কংগ্রেস। এতে ক্ষিপ্ত হয় এসপি। কেননা, উত্তর প্রদেশে এসপি ও বিএসপি পরস্পরের শত্রু।

 

অন্যান্য আন্তর্জাতিক শীর্ষ খবর