আফ্রিকার দেশ সোয়াজিল্যান্ডের নারীদের মিনিস্কার্ট ও ক্রপ টপস পরা নিষিদ্ধ করা হয়েছে। সম্প্রতি জারি করা নিষেধাজ্ঞায় বলা হয়েছে, নারীদের এসব পোশাক পুরুষদের ধর্ষণে প্ররোচিত করে।
সমঅধিকার ও নিরাপত্তার দাবিতে গত মাসে মানজিনি শহরে তরুণীদের আন্দোলনের প্রেক্ষিতে এ নিষেধাজ্ঞা জারি করল সোয়াজি পুলিশ। নিষেধাজ্ঞা অমান্যকারীদের ছয় মাস কারাদণ্ড ভোগ করতে হবে।
পুলিশের মুখপাত্র ওয়েন্ডি এইচলেটা সতর্ক করে বলেন, “তাদের গ্রেফতার করা হবে।” তিনি বলেন, “আমরা নারীদের ক্ষতি হতে দিতে চাই না তবে জনগণেরও গ্রহণযোগ্য আচরণ করা উচিত।”
দক্ষিণ আফ্রিকার ইন্ডিপেন্ডেট অনলাইন এর মতে, সোয়াজিল্যান্ডে নারীরা সংখ্যালঘু এবং দুই-তৃতীয়াংশ কিশোরী যৌন নিপীড়নের শিকার হয়।
নারীদের ঢিলাঢালা জিনস ও হাতকাটা শার্ট পরার ওপর এ নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়েছে।
তবে দেশটির রাজা এমওয়াতির উদ্দেশ্যে স্পর্শকাতর অংশ ছাড়া নগ্ন হয়ে তরুণীদের নাচের ক্ষেত্রে এ নিষেধাজ্ঞা কার্যকর হবে না।
এইচলেটা বলেন, “এক্ষেত্রে এ ধরণের পোশাক অনুমোদন দেওয়া হয়েছে কেননা এ পোশাক পরার কারণে কোন ধর্ষণের তথ্য পায়নি পুলিশ।”
বিলাসবহুল জীবনধারণের জন্য দারিদ্র্যের কষাঘাতে জর্জরিত দেশটির রাজা এমওয়াতি সমালোচিত। ইতোমধ্যে ১৩ টি বিয়ে করেছেন তিনি।
নিষেধাজ্ঞার মাধ্যমে ১৮৮৯ সালের উপনিবেশিক অপরাধ আইনকে পুনরুজ্জীবিত করছে সোয়াজিল্যান্ডের পুলিশ। অবিশ্বাস্যভাবে সংরক্ষণবাদী এ রাষ্ট্রটির সর্বোচ্চ ক্ষমতার অধিকার হচ্ছে পুলিশ।