রাজধানীসহ সারাদেশে শিবিরের নাশকতায় নেতৃত্বদানকারী ৩৬ শিবির ক্যাডারকে আটক করেছে মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ। বৃহস্পতিবার থেকে শুক্রবার সন্ধ্যা পর্যন্ত পরিচালিত অভিযানে রাজধানীর বিভিন্ন এলাকা থেকে তাদের আটক করা হয়। আটককৃতদের কাছ থেকে সরকারবিরোধী বিপুল পরিমাণ লিফলেট ও ল্যাপটপ উদ্ধার করা হয়েছে।
ডিএমপির মিডিয়া সেন্টার থেকে আটকের ব্যাপারে সত্যতা নিশ্চিত করা হয়েছে।
ডিএমপির মিডিয়া সেন্টার থেকে জানানো হয়, গত ২০ ডিসেম্বর বৃহস্পতিবার থেকে ২১ ডিসেম্বর শুক্রবার সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত ডিএমপির গোয়েন্দা বিভাগের (উত্তর) উপ-পুলিশ কমিশনার মোল্যা নজরুল ইসলামের তত্ত্বাবধানে এডিসি (পশ্চিম) মশিউর রহমান, এডিসি (উত্তর) শহিদুল্লাহ, এডিসি (সোয়াট এন্ড অর্গানাইজড ক্রাইম) আশিকুর রহমানের নেতৃত্বে ঢাকা মহানগরীর বিভিন্ন জায়গায় অভিযান পরিচালনা করা হয়।
গ্রেফতারকৃতরা হলেন ছাত্রশিবির ৯১ নং ওয়ার্ড সভাপতি শরিয়ত উল্লাহ (২০), কাফরুল থানা সাধারণ সম্পাদক রাসেল মাহমুদ (২৫), ঢাকা মহানগরের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য রোকন আমিনুল ইসলাম শাহ (৩২), নগর পশ্চিম সেক্রেটারি, ঢাকা মহানগর পশ্চিমের জেনারেল সেক্রেটারি গোলাম কিবরিয়া (২৭), শাহআলী থানা সভাপতি আব্দুল আলিম (২৩), মোহাম্মদপুর থানা সভাপতি মশিউর রহমান (২৫), দারুস সালাম থানার ৯ নং ওয়ার্ডের সভাপতি আলী আকবর (২২), রূপনগর থানা সেক্রেটারি আতিক হাসান (২৪), দারুস সালাম থানার ওয়ার্ড সেক্রেটারি সাফায়েত হোসেন (২০), কাফরুল থানা সভাপতি আঃ হান্নান সরকার (২৫), পল্লবী থানা কর্মী নাজমুল ফকির গাজী (১৮), মিরপুর থানার সভাপতি ওয়েজ খান্নু সোহেল (২৪), পল্লবী থানার ওয়ার্ড সভাপতি আনোয়ার হোসেন (২১), মিরপুর থানার সেক্রেটারি রফিকুল ইসলাম (২৫), শেরেবাংলানগর থানা সভাপতি মোজাহিদুল ইসলাম (২৪), মোহাম্মদপুর থানার সেক্রেটারি এনামুল হক (২১), পল্লবী থানার ২ নং ওয়ার্ড সভাপতি নিজাম উদ্দিন (২৫), পল্লবী থানা সেক্রেটারি জোবাইর হোসাইন রাজন (২২), শাহআলী থানা সেক্রেটারি আশরাফুল ইসলাম ফেরদৌস (২০), আদাবর থানার সভাপতি ওমর ফারুক (২৫), রূপনগর থানার সভাপতি গোলাম মর্তুজা (২৫), মহানগর পশ্চিম অঞ্চলের ছাত্র বিষয়ক সম্পাদক ইসরাইল হোসেন (২৫), আদাবর থানা সেক্রেটারি এনামুল হক (২৩), পল্লবী থানার সভাপতি আবির হোসেন (২৭), দারুস সালাম থানার সেক্রেটারি শহিদুল ইসলাম (২২), দারুস সালাম থানার সভাপতি জাকারিয়া হোসেন (২৬), ঢাকা মহানগর পশ্চিমাঞ্চলের সভাপতি সাজ্জাদ হোসেন (২৯), আদাবর থানার ওয়ার্ড সভাপতি আব্দুল হাই (২২), সদস্য হাবিবুর রহমান (২২), সাথী হাবিবুল্লাহ (২১), আমজাদ হোসেন, ইব্রাহিম (২৯), মাহমুদুল হাসান (২২), আক্তার হোসেন (১৮), এবিএম মাহমুদুল হাসান (১৮) ও আবুল হাসনাত (১৮)।
গ্রেফতারকৃতদের কাছ থেকে ৭টি ল্যাপটপ, সরকারবিরোধী লেখা সংবলিত বিপুল সংখ্যক বই, লিফলেট, দাওয়াতপত্র ও অন্যান্য তথ্য সংবলিত কাগজপত্র উদ্ধার করা হয়।
ডিএমপি মিডিয়া থেকে জানানো হয়, বিভিন্ন সময়ে গাড়ি ভাংচুর/পোড়ানো, পুলিশের উপর আক্রমণসহ বিভিন্ন অপরাধের সঙ্গে জড়িত থাকার অপরাধে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের বিভিন্ন থানায় রুজুকৃত মামলার তদন্ত কর্মকর্তাদের উদ্যোগে গ্রেফতার করা হয়েছে।
গ্রেফতারকৃতদের জিজ্ঞাসাবাদ অব্যাহত আছে বলে জানানো হয়েছে।