বেশিরভাগ মার্কিনি আইনের পরিবর্তন চায় অভিহিত করে ওবামা বলেন, কতোগুলো শব্দ দিয়েই একটি লিখিত আইন প্রণয়ন করা হয়। সেই শব্দগুলোকে এখন আমাদের কাজে লাগাতে হবে। আগ্নেয়াস্ত্র নিয়ন্ত্রণে শক্তিশালী আইন প্রণয়নে আমাদের কঠোর হতে হবে। তিনি আরো বলেন, ইতোমধ্যে ভাইস-প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনকে প্রধান করে কানেক্টিকাট হত্যাকাণ্ডের প্রকৃত ঘটনা নিরূপণে তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। এছাড়া আগ্নেয়াস্ত্র বিক্রি আইনের দুষ্ট ফাঁক-ফোকর চিহ্নিত করে তা সংশোধনের ব্যবস্থা নেয়া হবে।
এর আগে হোয়াইট হাউজের মুখপাত্র জে কারনি জানান, আগামী কংগ্রেসে ডেমোক্র্যাট দলীয় সিনেটররা অস্ত্র নিষিদ্ধকরণের একটি ধারা পুনরুজ্জীবিত করতে প্রস্তাব তোলার পরিকল্পনা করছেন। এতে প্রেসিডেন্ট সমর্থন দেবেন। অস্ত্র ক্রয়ে আগ্রহী ব্যক্তির অতীত খতিয়ে দেখার পক্ষে আইন করায়ও সমর্থন দেবেন ওবামা। জানা গেছে, গত শুক্রবারের পর থেকে যুক্তরাষ্ট্রে অস্ত্র কেনাবেচার হার বেড়ে গেছে। নতুন আইনে অস্ত্র কেনাবেচার ক্ষেত্রে বাধানিষেধ আরোপ করা হতে পারে, এ আশঙ্কায় অনেকেই অস্ত্র কিনছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। যুক্তরাষ্ট্রের প্রভাবশালী দৈনিক ওয়াশিংটন পোস্ট-এর এক প্রতিবেদনে এ খবর জানানো হয়েছে।
এদিকে, অপ্রত্যাশিত হত্যাকাণ্ডের পর কানেক্টিকাটের স্যান্ডি হুক স্কুলটির সার্বিক কার্যক্রম এখনো বন্ধ রয়েছে।