পদ্মা প্রকল্পে দুর্নীতির ষড়যন্ত্রের অভিযোগের মামলায় আসামি করা না হলেও সাবেক দুই মন্ত্রী সৈয়দ আবুল হোসেন ও আবুল হাসান চৌধুরীর ওপর দুর্নীতি দমন কমিশনের নজরদারি রয়েছে।
মামলার তিন দিন পর বৃহস্পতিবার দুদক কমিশনার মো. বদিউজ্জামান এই তথ্য সাংবাদিকদের জানিয়েছেন।
তিনি বলেন, “সাবেক দুই মন্ত্রীর গতিবিধি দুদকের নিয়মিত নজরদারির মধ্যে রয়েছে।”
বিশ্ব ব্যাংক দুর্নীতির অভিযোগ তোলার প্রেক্ষাপটে আবুল হোসেন ও আবুল হাসানসহ ২৯ জনকে জিজ্ঞাসাবাদের পর সাতজনকে আসামি করে মামলা করে দুদক।
আসামির তালিকায় নাম না থাকলেও মামলার এজহারের বর্ণনা রয়েছে সাবেক যোগাযোগমন্ত্রী আবুল হোসেন এবং ১৯৯৬-২০০১ মেয়াদে আওয়ামী লীগ সরকারের পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী আবুল হাসানের নাম।
তাদের নাম না রাখার ব্যাখ্যায় দুদকের পক্ষ থেকে বলা হচ্ছে, ঘুষ লেনদেনের ষড়যন্ত্রে তাদের ভূমিকার বিষয়ে অনুসন্ধানে যথেষ্ট সাক্ষ্য-প্রমাণ সংগ্রহ করা যায়নি।
তবে মামলার তদন্তের সময় সাবেক দুই মন্ত্রীর ভূমিকা আরো খতিয়ে দেখা হবে বলে দুদক কর্মকর্তারা জানিয়েছেন।
মামলায় সেতু বিভাগের সাবেক সচিব মোশাররফ হোসেন ভূইয়াসহ সাতজনকে আসামি করেছে দুদক। তাদের গ্রেপ্তারের নির্দেশও দেয়া হয়েছে।
দুদক কমিশনার বদিউজ্জামান বৃহস্পতিবার বলেন, গ্রেপ্তারের আগ পর্যন্ত অভিযুক্তদের পলাতক আসামি হিসেবে বিবেচনা করা হবে।
“আসামিদের মধ্যে যারা দেশে রয়েছেন, তাদের গ্রেপ্তারের প্রক্রিয়া চলছে। তবে এখনো আমরা সাফল্য পাইনি। গ্রেপ্তারের আগ পর্যেন্ত তাদের পলাতক আসামি হিসেবে বিবেচনা করবে দুদক।”
প্রধান আসামি মোশাররফ বৃহস্পতিবার জামিনের আবেদন নিয়ে হাই কোর্টে যান। তবে তা গ্রেপ্তারে বাধা হবে না বলে দুদক কর্মকর্তারা জানিয়েছেন।
মামলার অন্য আসামিরা হলেন- সেতু কর্তৃপক্ষের তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী (নদী শাসন) কাজী মো. ফেরদৌস, সড়ক ও জনপথ বিভাগের (সওজ) নির্বাহী প্রকৌশলী রিয়াজ আহমেদ জাবের, ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যান্ড প্ল্যানিং কনসালটেন্ট লিমিটেডের উপ ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও বাংলাদেশে কানাডীয় পরামর্শক প্রতিষ্ঠান এসএনসি লাভালিনের স্থানীয় প্রতিনিধি মোহাম্মদ মোস্তফা, এসএনসি-লাভালিনের সাবেক পরিচালক মোহাম্মদ ইসমাইল, এই সংস্থার আন্তর্জাতিক প্রকল্প বিভাগের সাবেক ভাইস প্রেসিডেন্ট রমেশ সাহ ও সাবেক ভাইস প্রেসিডেন্ট কেভিন ওয়ালেসকে আসামি করা হয়েছে।