সম্প্রতি সিংহাসন আরোহনের রজতজয়ন্তী পালন করেছেন ব্রিটেনের রানী দ্বিতীয় এলিজাবেথ। আর এর উপহার হিসেবে তার নামে এন্টার্কটিকা মহাদেশের একটি অংশের নামকরণ করা হয়েছে।
ব্রিটিশ এন্টার্কটিকা টেরিটরির এক লাখ ৬৯ হাজার বর্গমাইল বিস্তৃত ওই অংশের নাম কুইন এলিজাবেথ ল্যান্ড। আয়তনে কুইন এলিজাবেথ ল্যান্ড যুক্তরাজ্যের আয়তনের দ্বিগুণ এবং বরফাচ্ছিত মহাদেশে ব্রিটেনের টেরিটরি এক তৃতীয়াংশ।
ডাউনিং স্ট্রিটে তার ঐতিহাসিক পরিদর্শনের পরেই ব্রিটিশ পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এ ঘোষণা আসল। ১৭৮১ সালের যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে যুদ্ধের পর প্রথম সম্রাজ্ঞী হিসেবে মন্ত্রিপরিষদের বৈঠকে অংশ নিচ্ছেন রানী দ্বিতীয় এলিজাবেথ।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, ভবিষ্যতে ব্রিটিশ মানচিত্রে যোগ করা হবে কুইন এলিজাবেথ ল্যান্ডকে।
ব্রিটিশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী উইলিয়াম হগ বলেন, “দেশকে সেবা করায় তার সম্মানে আমরা ব্রিটিশ এন্টার্কটিকা টেরিটরির একটি অংশের নাম ‘কুইন এলিজাবেথ ল্যান্ড’ রেখেছি।”
তিনি আরও বলেন, “তার রজত জয়ন্তি বছরের শেষের দিকে এটি যথোপযুক্ত সম্মান এবং ফরেন ও কমনওয়েলত কার্যালয়ে তার পরিদর্শনের সময় এ ঘোষণা দিতে পেরে আমি নিজেকে গর্বিত মনে করছি।”
১৯০৮ সালে এন্টার্কটিকার একটি অংশকে নিজের বলে দাবি করে ব্রিটেন। ওই অংশের নাম দেয় ব্রিটিশ এন্টার্কটিক টেরিটরি। ১৯৬২ সালে আনুষ্ঠানিকভাবে এন্টার্কটিকার এ অংশকে বিদেশে নিজের ভূখণ্ড হিসেবে চিহ্নিত করে।
এর আগেও রানীর নামে এন্টার্কটিকার একটি অংশের নামকরণ করা হয়েছিল। ১৯৩১ সালে অস্ট্রেলিয়ার ভ্রমণকারী স্যার ডগলাস মাউসন পূর্ব এন্টার্কটিকার একটি অংশ আবিষ্কার করার পর তার নাম দেন ‘প্রিন্সেস এলিজাবেথ ল্যান্ড’।
১৯৫২ সালের ৬ ফেব্রুয়ারি বাবা চতুর্থ জর্জের মৃত্যুর পর সিংহাসনে বসেন রানী দ্বিতীয় এলিজাবেথ। ১৯২৬ সালের ২১ এপ্রিল জন্মগ্রহণ করেন তিনি।