সিরিজ জিতল বাংলাদেশ

সিরিজ জিতল বাংলাদেশ

সিরিজ জয়ে ২১৮ রানের লক্ষ্যে খেলতে নেমে মাত্র ৩০ রানেই ৩ উইকেট হারায় বাংলাদেশ। তবে অধিনায়ক মুশফিকুর রহিমের সঙ্গে সহ অধিনায়ক মাহমুদুল্লাহর ৯১ রানের ঝড়ো জুটি ও নাসির হোসেনের সঙ্গে মমিনুল হকের ধীরস্থির ব্যাটিংয়ে ৫৩ রানের জুটির সৌজন্যে ৩৭ বল বাকি থাকতে ২ উইকেটে জিতে যায় স্বাগতিকরা। ৪৩.৫ ওভারে ৮ উইকেট হারিয়ে ২২১ রান করে তারা। শেষ ম্যাচের এ জয়ে ৩-২ ব্যবধানে সিরিজ জিতল টাইগাররা।

ওয়েস্ট ইন্ডিজ: ২১৭ (৪৮ ওভার)
বাংলাদেশ: ২২১/৮ (৪৪ ওভার)

জয়ের লক্ষ্যে মাঠে নেমে প্রথম দফায় ৯ রানেই ২ উইকেট হারায় বাংলাদেশ। দুই ওপেনার তামিম ইকবাল (৮) ও এনামুল হককে (০) নিজের দ্বিতীয় ওভারেই সাজঘরে ফেরান ক্যারিবীয় পেসার কেমার রোচ। জহুরুল ইসলামকে নিয়ে প্রতিরোধ গড়ার চেষ্টা করেন মুশফিকুর রহিম। দলীয় ৩০ রানে রোচের তৃতীয় শিকার হন জহুরুল (১০)।

মাহমুদুল্লাহর ব্যক্তিগত ৪৮, মুশফিকের ৪৪ রানের দারুণ ইনিংসে সেই বিপর্যয কাটিয়ে ওঠে বাংলাদেশ। তারা দুজনেই নারিনের বলে মাঠ ছাড়লেও মমিনুল হকের ৩ বাউন্ডারিতে ২৫ রানে ম্যাচ জয়ের পথেই থাকে। শেষ পর্যন্ত সোহাগ গাজীকে নিয়ে দারুণ এক ইনিংস খেলে জয় তুলে নেন নাসির। সোহাগ ১৯ রানে রোচের বলে আউট হন। নেমেই মাঠ ছাড়েন আব্দুর রাজ্জাক।  অপর প্রান্তে অপরাজিত ৩৯ রানের ইনিংস খেলে জয়ে মাঠ ছাড়েন নাসির। অপর পাশে ১ রানে অপরাজিত ছিলেন ইলিয়াস সানি।

উইন্ডিজদের হয়ে সর্বোচ্চ ৪ উইকেট নেন রোচ, নারিন ৩ উইকেট দখল করেন।

এর আগে সিরিজ নির্ধারণী ম্যাচে টসে জিতে ফিল্ডিং করার সিদ্ধান্ত নেয় বাংলাদেশ। বোলিংয়ে শুরুতে সফলতা দেখে স্বাগতিক বোলাররা। দলীয় ১৭ রানের মধ্যেই সোহাগ গাজী ও শফিউল ইসলামের শিকার হয়ে মাঠ ছাড়েন কাইরন পাওয়েল, মারলন স্যামুয়েলস ও ক্রিস গেইল। তবে কাইরন পোলার্ড-ড্যারেন ব্রাভোর শক্ত জুটিতে সেই বিপর্যয কাটিয়ে ওঠে ক্যারিবীয়রা। শেষ পর্যন্ত ৪৮ ওভারে ২১৭ রানে গুটিয়ে যায় ওয়েস্ট ইন্ডিজের ইনিংস।

শুরুতে সোহাগের দ্বিতীয় ওভারের দ্বিতীয় বলে ব্যক্তিগত ১১ রানে স্প্যাম্পিং হয়ে মাঠ ছাড়েন পাওয়েল। দুটি বাউন্ডারির মার রয়েছে তার ইনিংসে। দুই ওভার বিরতি দিয়ে শফিউলের বলে একটি রান নিতে গিয়ে মাহমুদুল্লাহর সরাসরি থ্রোতে মাঠ ছাড়েন স্যামুয়েলস (১)। মাশরাফি বিন ‍মুর্তজার পরিবর্তে দলে ডাক পাওয়া শফিউলের কাছে নিজের উইকেটটি বিলিয়ে দেন গেইল। ১৯ বলে ২ রান করেন তিনি।

১৭ রানে ৩ উইকেট হারালে পোলার্ড-ব্রাভো জুটিতে ম্যাচ নিজেদের নিয়ন্ত্রণে নেয় সফরকারীরা। ১৩২ রানের জুটি গড়েন তারা। ৮ ছয় ও ৫ চারে ৭৪ বলে ৮৫ রানের সর্বোচ্চ ইনিংস খেলে মমিনুল হকের বলে বোল্ড হতে হয় পোলার্ডকে। সাকিব আল হাসানের পরিবর্তে দলে জায়গা পাওয়া মমিনুলের এটিই প্রথম আন্তর্জাতিক উইকেট। এক ওভার বিরতিতে তার দ্বিতীয় শিকার হন অধিনায়ক ড্যারেন স্যামি (২)।

ক্রিজ আঁকড়ে ধরে থাকতে চাইলেও ব্যর্থ হন ব্রাভো। ১০৮ বলে ৫১ রানের ইনিংস খেলে মাহমুদুল্লাহর বলে তিনি ক্যাচ তুলে দেন মমিনুলকে। একই ওভারের পঞ্চম বলে মাহমুদুল্লাহর দ্বিতীয় শিকার আন্দ্রে রাসেল। ব্যক্তিগত ১০ রানে সিঙ্গেল নিতে গিয়ে তামিম ইকবালের থ্রোতে সোহাগ গাজীর কাছে রান আউট হন বিরাস্বামী পেরমল। নিজের ৯ম ওভারে চতুর্থ ও শেষ বলে ডেভন থমাস (২৫) ও কেমার রোচকে ফেরান শফিউল।

বাংলাদেশের পক্ষে সর্বোচ্চ ৩ উইকেট নিয়েছেন শফিউল। ২টি করে উইকেট দখল করেন মাহমুদুল্লাহ ও মমিনুল।

খেলাধূলা শীর্ষ খবর