সিরিয়ার রাসায়নিক অস্ত্র ব্যবহার হবে মারাত্মক আপরাধ: মুন

সিরিয়ার রাসায়নিক অস্ত্র ব্যবহার হবে মারাত্মক আপরাধ: মুন

দামেস্ক রাসায়নিক অস্ত্র ব্যবহার করার প্রস্তুতি নিচ্ছে কিনা এ বিষয়ে নিশ্চিত কোনো তথ্য নেই জানিয়ে জাতিসংঘ মহাসচিব বান কি মুন বলেছেন, রাসায়নিক অস্ত্র ব্যবহার করা হলে তা হবে ‘মারাত্মক অপরাধ’।

শুক্রবার তুরস্ক সফররত জাতিসংঘ মহাসচিব এসব কথা বলেন।

তুরস্কে সিরীয় শরণার্থীদের একটি শিবির পরিদর্শনের পর মুন বলেন, “সম্প্রতি আমরা এ ধরনের খবর শুনতে পাচ্ছি যে, সিরিয়ার সরকার সম্ভবত রাসায়নিক অস্ত্র ব্যবহারের প্রস্তুতি নিচ্ছে। তবে এ বিষয়ে আমাদের কাছে কোনো নিশ্চিত তথ্য নেই।”

“যদি তাই হয়, তবে এটি হবে মানবতার বিরুদ্ধে মারাত্মক অপরাধ। আমি জানি বেশ কয়েকজন বিশ্ব নেতা ইতিমধ্যে আসাদকে এ বিষয়ে সতর্ক করে রাসায়নিক অস্ত্র ব্যবহার না করার জন্য হুঁশিয়ার করেছেন,” বলেন তিনি।

বিভিন্ন গোয়েন্দা সূত্রের উল্লেখ করে সপ্তাহখানেক আগে ওয়াশিংটন জানিয়েছিল, সিরিয়ার প্রেসিডেন্ট বাশার আল আসাদ সম্ভবত বিষাক্ত গ্যাস ব্যবহার করার প্রস্তুতি নিচ্ছেন। এর পরপরই গত সপ্তাহে কয়েকটি পশ্চিমা দেশ রাসায়নিক অস্ত্র ব্যবহার না করার জন্য আসাদকে সতর্ক করে।

রাসায়নিক অস্ত্র ব্যবহার করা হলে “চরম সীমা” লঙ্ঘণ করা হবে বলে হুঁশিয়ারি জানায় যুক্তরাষ্ট্র।

এসব হুঁশিয়ারির জবাবে দামেস্ক জানায়, নিজ দেশের নাগরিকদের বিরুদ্ধে তারা কখনোই রাসায়নিক অস্ত্র ব্যবহার করবে না। সিরিয়ায় আন্তর্জাতিক হস্তক্ষেপের পরিস্থিতি সৃষ্টি করতেই পশ্চিমারা এসব বানানো গোয়েন্দা তথ্য প্রচার করছে বলে পাল্টা অভিযোগ করে দামেস্ক।

এদিকে সিরিয়ার প্রেসিডেন্ট আসাদের বিরুদ্ধে লড়াইরত বিদ্রোহীরা শুক্রবার দামেস্ক আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর এলাকাকে ‘যুদ্ধ এলাকা’ ঘোষণা করেছে।

ওদিকে সিরিয়ার সংঘাত অবসানে কূটনৈতিক প্রচেষ্টার সফলতার সম্ভাবনা নিয়ে রাশিয়া ও যুক্তরাষ্ট্র উভয় দেশই হতাশা জানিয়েছে।

এর আগে রাসায়নিক অস্ত্র ব্যবহার না করার জন্য আসাদকে আরো দুইবার লিখিতভাবে সতর্ক করেছিলেন মুন।

সিরিয়ার রাজধানী দামেস্কের দিকে বিদ্রোহীদের সাম্প্রতিক অগ্রযাত্রা রুখতে আসাদ রাসায়নিক অস্ত্র ব্যবহারে উৎসাহী হয়ে উঠতে পারেন বলে বিদ্রোহী ও পশ্চিমা গোয়েন্দা সংস্থার মধ্যে আশঙ্কা বিরাজ করছে।

সিরিয়ায় গত বিশমাস ধরে চলা আসাদ বিরোধী বিদ্রোহী লড়াইয়ে এ পর্যন্ত ৪০ হাজারেরও বেশি মানুষ নিহত হয়েছে বলে জানিয়েছেন পর্যবেক্ষকরা।

অন্যান্য শীর্ষ খবর