দক্ষিণ চীন সাগরে নৌবাহিনী পাঠাবে ভারত

ভারত অর্থনৈতিক স্বার্থ রক্ষায় দক্ষিণ চীন সাগরে নৌবাহিনী মোতায়েনে প্রস্তুত। সোমবার নয়াদিল্লিতে সাংবাদিকদের একথা জানিয়েছেন নৌবাহিনী প্রধান অ্যাডমিরাল ডি.কে. জোশি।

তিনি বলেন, “যেখানে আমাদের দেশের স্বার্থ জড়িত, সেখানে আমরা অন্যদের প্রতিহত করব এবং প্রয়োজনবোধে নৌবাহিনী মোতায়েন করা হবে।”

এজন্য পূর্বাঞ্চলীয় নৌ কমান্ডকে প্রস্তুত রাখা হয়েছে এবং শক্তিশালী করে তোলা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন জোশি।

তিনি আরো বলেন, দক্ষিণ চীন সাগরের ভূখন্ডগত বিরোধে ভারত সামিল না হলেও ওই অঞ্চলে তেল এবং সমুদ্র এলাকার সুরক্ষায় প্রয়োজনবোধে সামরিক হস্তক্ষেপ করতে নৌবাহিনী প্রস্তুত।

ভারতের পূর্বাঞ্চলীয় সমুদ্র বক্ষের নিরাপত্তা রক্ষার দায়িত্বে রয়েছে নৌবাহিনী এবং দক্ষিণ চীন সাগরে হস্তক্ষেপের ক্ষেত্রে তারাই মুখ্য ভূমিকা পালন করবে।

দক্ষিণ চীন সাগরের মালিকানা নিয়ে চীন, ভিয়েতনাম, ফিলিপাইন ও তাইওয়ানের মধ্যে বিরোধ চলছে। দফায় দফায় চলা এ বিরোধের মধ্যেই গত সেপ্টেম্বরে যুদ্ধবিমানবাহী প্রথম রণতরীর প্রস্তুতি মহড়া শুরু করেছে চীন।

চীনের নৌ বাহিনীর এ আধুনিকায়ন এবং শক্তিশালী হয়ে ওঠা ভারতের জন্য বড় ধরনের উদ্বেগ উল্লেখ করে জোশি বলেন, “আমরা কি এর জন্য প্রস্তুত হচ্ছি? আমরা কি এ ধরনের মহড়া চালাচ্ছি? এক কথায় বলা যায়, হ্যাঁ।”

সম্প্রতি চীনের হাইনান প্রদেশ তাদের পুলিশ বাহিনীকে দক্ষিণ চীন সাগর দিয়ে যে নৌ যানগুলো যাবে সেগুলো তল্ল¬াশির অনুমতি দিয়ে আইন পাস করেছে। দক্ষিণ চীন সাগরের প্রশাসনিক দায়িত্বে রয়েছে ওই প্রদেশটি।

চীনের এ পদক্ষেপের একদিন পরই ভারত দক্ষিণ চীন সাগরে নৌবাহিনী মোতায়েনের এ হুঁশিয়ারি দিল। কারণ, গত বছর অক্টোবরে দক্ষিণ চীন সাগরে তেলের খনি অনুসন্ধানে ভিয়েতনামের সঙ্গে ভারত এক চুক্তি করায় এ ইস্যুতে তাদের স্বার্থও জড়িয় পড়েছে।

দক্ষিণ চীন সাগরটি ভারতসহ অন্যান্য দেশের একটি গুরুত্বপূর্ণ আন্তর্জাতিক নৌপথ। দক্ষিণ চীন সাগরে প্রচুর পরিমাণ খনিজ সম্পদ রয়েছে বলে ধারণা করা হয়।

এ সাগরে ভারত বাণিজ্য পথ এবং খনিজ সম্পদ রক্ষার জন্য নৌবাহিনীর সমাবেশ ঘটালে চীনের সঙ্গে তাদের সংঘাতে জড়িয়ে পড়ার আশঙ্কা করছেন বিশ্লেষকরা।

তবে ওই অঞ্চলে ভারতের নৌবাহিনীর নজর কেবল ভারত মহাসাগরের ওপরই সীমাবদ্ধ থাকবে বলে মন্তব্য করেছেন নয়াদিল্লির এক বিশ্লেষক ব্রাহমা চেলানলি।

আন্তর্জাতিক