পদ্মাসেতু প্রকল্পের আটকে যাওয়া অর্থায়ন প্রক্রিয়া দ্রুততর করতে অন্যান্য সহযোগী-দাতা সংস্থাকে সম্মত করার ব্যাপারে জাপান আন্তর্জাতিক সহযোগিতা সংস্থার (জাইকা) সহায়তা কামনা করলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
ঢাকা সফররত জাইকা’র ভাইস প্রেসিডেন্ট তোসিকি কিরোয়াংগি মঙ্গলবার প্রধানমন্ত্রীর শেখ হাসিনার সঙ্গে তাঁর কার্যালয়ে সাক্ষাৎকালে প্রধানমন্ত্রী এ সহায়তা চান বলে জানা যায় বাংলাদেশ সংবাদ সংস্থার(বাসস)সূত্রে।
প্রধানমন্ত্রী বলেন ‘রাজধানীর সঙ্গে দক্ষিণাঞ্চলের ২১ জেলার সরাসরি সংযোগ স্থাপনকারী এই বৃহৎ প্রকল্পে সহযোগী অর্থায়নকারীদের অর্থায়ন প্রক্রিয়া দ্রুততর করতে আপনাদের সহায়তা আমাদের প্রয়োজন।’
প্রধানমন্ত্রীর প্রেসসচিব আবুল কালাম আজাদ সাংবাদিকদের একথা জানান।
২০১০ সালে নিজের জাপান সফরকালে পদ্মাসেতু নির্মাণে জাইকা’র ৪০ কোটি মার্কিন ডলার প্রদানের প্রতিশ্র“তির কথা স্মরণ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘এই প্রকল্পে সহায়তার জন্য আমি জাইকা’কে ধন্যবাদ জানাই।’
পাশাপাশি প্রধানমন্ত্রী বাংলাদেশের অগ্রগতিতে যোগাযোগ, বিদ্যুৎ জ্বালানি, টেলিযোগাযোগ, স্বাস্থ্যসেবা, মানবসম্পদ, নগর ও পল্লী উন্নয়নের মতো বিভিন্ন খাতে অবদান রেখে চলার জন্য জাইকা’কে ধন্যবাদ জানান।
চলতি ডিসেম্বরের মধ্যে মেট্রোরেল সিস্টেম, ভেড়ামারা বিদ্যুৎকেন্দ্র এবং জাতীয় বিদ্যুৎ সঞ্চালন নেটওয়ার্ক প্রকল্পের তিনটি চুক্তির সমন্বয়ে ৩৩তম বৈদেশিক উন্নয়ন সহায়তা (ওডিএ) স্বাক্ষরেও জাইকা’র সহায়তা কামনা করেন প্রধানমন্ত্রী।
এছাড়া কাঁচপুর, মেঘনা ও গোমতি সেতু নির্মাণ ও সংস্কার, কর্ণফুলি পানি সরবরাহ প্রকল্প, বাংলাদেশের উত্তরাঞ্চলের সমন্বিত উন্নয়ন প্রকল্প এবং নবায়নযোগ্য জ্বালানি উন্নয়ন প্রকল্পের চারটি চুক্তির সমন্বয়ে ৩৪তম ওডিএ ঋণ স্বাক্ষরে জাইকা’র সহায়তা কামনা করেন প্রধানমন্ত্রী।
তিনি গত নভেম্বর মাসে নগর ও পল্লী এলাকায় ভূ-গর্ভস্থ’ পানির অনুসন্ধান ও উন্নয়ন এবং প্রাথমিক শিক্ষা উন্নয়ন প্রকল্প-৩-এর খসড়া চুক্তির জন্যও জাইকাকে ধন্যবাদ জানান।
এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন প্রধানমন্ত্রীর উপদেষ্টা ড. তৌফিক-ই-ইলাহী চৌধুরী, অ্যাম্বাসেডর অ্যাট-লার্জ এম জিয়াউদ্দিন, প্রধানমন্ত্রীর মুখ্যসচিব শেখ মো. ওয়াহিদউজ-জামান, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের সচিব মোল্লা ওয়াহেদুজ্জামান, প্রেসসচিব আবুল কালাম আজাদ।