সফরকারী ওয়েস্ট ইন্ডিজ দলের বিপক্ষে ২ ম্যাচের টেস্ট সিরিজের প্রথম টেস্টেই শতক হাঁকিয়েছেন অলরাউন্ডার নাঈম ইসলাম। টেস্ট তো বটেই আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে এটাই নাঈমের প্রথম সেঞ্চুরি। আর সংখ্যার দিক থেকে বাংলাদেশের ২৪তম টেস্ট সেঞ্চুরি।
মিরপুর শের-ই বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে বৃহস্পতিবার ক্যারিয়ারের প্রথম আন্তর্জাতিক শতকের স্বাদ পান নাঈম। আগের দিন ৬০ বলে ৫ বাউন্ডারিতে ২৭ রান করে অপরাজিত ছিলেন। বৃহস্পতিবার তৃতীয় দিনে ধীর-স্থিরভাবে আসল টেস্ট মেজাজে ব্যাট করে ১৭ বাউন্ডারিতে ২২৮ বলে প্রথম টেস্ট শতক পূর্ণ করেন তিনি।
প্রথম টেস্ট শতকটাকে আরও টেনে নিয়ে যেতে পারতেন নাঈম। কিন্তু ক্যারিবিয় অধিনায়ক ড্যারেন স্যামির করা ৯৮তম ওভারের ৫ম বলে উইকেটরক্ষক রামদিনের হাতে ধরা পড়েন তিনি। আউট হওয়ার আগে ২৫৫ বলে ১৭ বাউন্ডারিতে ১০৮ রান করেন নাঈম।
বৃহস্পতিবার মিরপুরে নাঈমের টেস্ট শতকটি বাংলাদেশের পক্ষে ২৪ তম শতক। বাংলাদেশের সর্বশেষ টেস্ট শতক এসেছিল গত বছরের ডিসেম্বরে। মিরপুরেই পাকিস্তানের বিপক্ষে ২য় টেস্টের প্রথম ইনিংসে সাকিব আল হাসান করেছিলেন ১৪৪ রান।
টানা দুই টেস্টে শতক পেতে পারতেন সাকিবও। কিন্তু ৭২তম ওভারের প্রথম বলটি ক্রিজের বাইরে এসে সজোরে মারতে গিয়ে কভারে দাঁড়িয়ে থাকা বদলি ফিল্ডার ফুয়াদিনের হাতে ধরা পড়ে মাত্র ১১ রানের জন্য সেঞ্চুরি মিস করেন সাকিব। আউট হওয়ার আগে ১৪৩ বলে ১০ চার ও ১ ছক্কায় ৮৯ রান করেন তিনি।
বাংলাদেশের প্রথম টেস্ট শতক আসে ১২ বছর আগে। অভিষেক টেস্টেই ভারতের বিপক্ষে প্রথম টেস্ট শতকটি পেয়েছিলেন আমিনুল ইসলাম বুলবুল। বঙ্গবন্ধু স্টেডিয়ামে ৩৮০ বলে ১৭ বাউন্ডারিতে আমিনুলের সেই ১৪৫ রানের ইনিংসটি ৪ বছর ধরে বাংলাদেশের সর্বোচ্চ টেস্ট ইনিংস হয়ে ছিল।
২০০৪ সালে চট্টগ্রামে ওই ভারতের বিপক্ষেই ১৫৮ রানের অপরাজিত ইনিংস খেলেন মোঃ আশরাফুল। ২৭৫ বলে ২৪ চার ও ৩ ছক্কায় সাজানো আশরাফুলের সেই ইনিংসটিই এখন পর্যন্ত বাংলাদেশের সর্বোচ্চ ব্যক্তিগত টেস্ট স্কোর।
এরপর ২০১০ সালে ঢাকায় ভারতের বিপক্ষে ১৫১ রানের আরও একটি অনবদ্য টেস্ট ইনিংস খেলেন তামিম। এখন পর্যন্ত টেস্টে তামিমের শতকের সংখ্যা ৪টি।
বাংলাদেশের হয়ে সর্বোচ্চ ৫টি টেস্ট সেঞ্চুরির মালিক মোঃ আশরাফুল। ৪ সেঞ্চুরি নিয়ে দ্বিতীয় অবস্থানে তামিম। এরপর ৩ শতক নিয়ে আছেন বর্তমান নির্বাচক হাবিবুল বাশার সুমন। সাকিবের টেস্ট শতকের সংখ্যা ২টি।