৩০ কার্যদিবসে বিও বেড়েছে অর্ধলাখ

অব্যাহত পতনের কবলে অনেকে বাজার থেকে নিজেদের গুটিয়ে নিলেও আসন্ন বিভিন্ন কোম্পানির আইপিওকে কেন্দ্র করে নতুন বিনিয়োগকারীর সংখ্যা বাড়তে শুরু করেছে। গত ৩৩ কার্যদিবসে প্রায় অর্ধলাখ বেনিফিশিয়ারি অ্যাকাউন্ট (আইপিও) খোলা হয়েছে।

যা গড়ে প্রতি কার্যদিবসে বেড়েছে ১ হাজার ৭৮৩টি করে। অক্টোবর মাসের ১ তারিখে বিও আ্যকাউন্ট ছিল ২৩ লাখ ৯৩ হাজার ৭৮টি। যা গতকাল বৃহস্পতিবার পর্যন্ত ৫৩ হাজার ৫০২টি বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২৪ লাখ ৪৬ হাজার ৫৮০টিতে। এর মধ্যে ১৮ লাখ ১৮ হাজার ১৭০টি পুরুষ,৬ লাখ ১৯ হাজার ৭০৯টি মহিলা এবং ৮ হাজার ৭০১টি কোম্পানি বিও অ্যাকাউন্ট রয়েছে। এছাড়া প্রবাসীদের বিও আ্যকাউন্ট ১ লাখ ৩২ হাজার ৬৯৬টি।

সার্বিক বাজার পরিস্থিতি মন্দা থাকায় কয়েক মাস আইপিও অনুমোদন বন্ধ থাকলেও আবার জোরেশোরে তা শুরু হয়ে গেছে। গত ২ মাসে প্রায় ১০টি কোম্পানির আইপিও অনুমোদন দিয়েছে নিয়ন্ত্রক সংস্থা এসইসি। আর এই আইপিওকে কেন্দ্র করে বিও অ্যাকাউন্ট বাড়ছে বলে মনে করছেন বাজার সংশ্লিষ্টরা।

সিনথিয়া ব্রোকারেজ হাউজের কর্মকর্তা রফিকুল ইসলাম বলেন, নতুন করে আইপিও অনুমোদন নিয়ে বিনিয়োগকারীরা বিও খুলতে শুরু করেছেন। এদের মধ্যে এমন বিনিয়োগকারী আছেন যারা ২ বছর আগে বাজার থেকে চলে গিয়েছিলেন আবার অনেক নতুন বিনিয়োগকারীও আসছেন বলে জানান তিনি।

এ বিষয়ে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) সভাপতি রকিবুর রহমানও বাজার সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে একমত পোষণ করেন। তিনি জানান, বাজারে স্থিতিশীলতা আনয়ন করতে পারলে বিনিয়োগকারীর বিও আরো বাড়বে। তবে বাজারের প্রতি বিনিয়োগকারীদের আস্থা বৃদ্ধি পেয়েছে বলেও তিনি মনে করেন।

ভয়াবহ ধসের আগের দেশের পুঁজিবাজারে বিও ছিল প্রায় ৩৩ লাখ। সেখানে আজ তা কমে দাঁড়িয়েছে প্রায় সাড়ে ২৪ লাখে। এর মধ্যে নবায়ন করায় অনেক বিও ঝড়ে পড়েছে। যেটাকে স্বাভাবিক হিসাবে ধরে নেয়া হয়। বাজারে যদি স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা প্রতিষ্ঠা করা যায় তাহলে বিও সংখ্যা আরো বাড়বে বলে মনে করছেন বিনিয়োগকারীরা।

অর্থ বাণিজ্য