1. editor@priyodesh.com : editor : Mohammad Moniruzzaman Khan
  2. monirktc@yahoo.com : স্টাফ রিপোর্টার :
  3. priyodesh@priyodesh.com : priyodesh :
রবিবার, ১৪ ডিসেম্বর ২০২৫, ০৫:৩০ পূর্বাহ্ন
শিরোনামঃ
আমার নিরাপত্তা নিয়ে পরিবার গভীর উদ্বিগ্ন : প্রেসসচিব দেশের সব নির্বাচন অফিসে নিরাপত্তা জোরদারের নির্দেশ যেকোনো মূল্যে দেশে নির্বাচন হতে হবে : তারেক রহমান সিইসির জন্য বাড়তি নিরাপত্তা চাইল ইসি জুলাই অভ্যুত্থান নস্যাতের ষড়যন্ত্র ‍রুখতে ঐক্যের ডাক রাজনৈতিক দলগুলোর এমপি প্রার্থীদের নিরাপত্তায় ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে : ডিএমপি কমিশনার হাদির হামলাকারীদের ধরিয়ে দিলে ৫০ লাখ টাকা পুরস্কার : স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা জাতীয় স্মৃতিসৌধ এলাকায় ৪ স্তরের নিরাপত্তা, প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা হাদির ওপর বর্বরোচিত হামলা গণতন্ত্রের ওপর আঘাত : মির্জা আব্বাস ষড়যন্ত্রকারীরা নেটওয়ার্ক বিস্তৃত করেছে, প্রশিক্ষিত শ্যুটার নিয়ে মাঠে নেমেছে: প্রধান উপদেষ্টা

আর্থিক তছরুপে মহেশ বাবুর নাম, ইডির তলবে সুপারস্টার!

Reporter Name
  • Update Time : মঙ্গলবার, ২২ এপ্রিল, ২০২৫
  • ৪৭ Time View

আর্থিক দুর্নীতির অভিযোগে দক্ষিণী সিনেমার জনপ্রিয় অভিনেতা মহেশ বাবুকে তলব করেছে ভারতের এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ইডি)। আগামী ২৭ এপ্রিল তাকে হায়দরাবাদে ইডি দপ্তরে উপস্থিত হয়ে জিজ্ঞাসাবাদের মুখোমুখি হতে বলা হয়েছে।

সূত্র অনুযায়ী, হায়দরাবাদভিত্তিক রিয়েল এস্টেট কোম্পানি ‘সাই সূর্য ডেভেলপারস’ এবং ‘সুরানা গ্রুপ’-এর বিরুদ্ধে ওঠা একটি বড় আকারের অর্থ তছরুপের মামলায় তদন্ত চলছে। অভিযোগ রয়েছে, এই সংস্থাগুলোর প্রজেক্টে বিনিয়োগ করে নিঃস্ব হয়েছেন বহু মানুষ। মাথা গোঁজার ঠাঁই পেতে গিয়ে তাদের হারাতে হয়েছে সর্বস্ব।

এই ঘটনায় নাম জড়িয়েছে মহেশ বাবুর। জানা গেছে, সাই সূর্য ডেভেলপারসের হয়ে বিজ্ঞাপনে অংশ নিয়েছিলেন তিনি। তদন্তকারীদের দাবি, ওই সংস্থার প্রচারদূত হিসেবে অভিনেতাকে ৫.৯ কোটি রুপি প্রদান করা হয়েছিল। এর মধ্যে ৩.৪ কোটি রুপি দেওয়া হয় ব্যাংকিং মাধ্যমে, আর বাকি ২.৫ কোটি রুপি দেওয়া হয় নগদে— যা তদন্তকারীদের সন্দেহ অনুযায়ী ছিল কালো টাকা। এই নগদ অর্থের উৎস ও ব্যবহারের বিষয়ে বিস্তারিত জিজ্ঞাসাবাদের জন্যই তলব করা হয়েছে মহেশ বাবুকে।

ইডির তদন্তে আরও উঠে এসেছে, গত ১৬ এপ্রিল হায়দরাবাদ ও সেকেন্দ্রাবাদে একযোগে চালানো অভিযানে চারটি জায়গায় তল্লাশি চালানো হয়। অভিযানে বিপুল পরিমাণ অর্থনৈতিক লেনদেন সংক্রান্ত নথি, বিভিন্ন ডিজিটাল প্রমাণ এবং প্রায় ১০০ কোটি রুপি নগদ উদ্ধার করা হয়েছে। এ ছাড়া সুরানা গ্রুপের কাছ থেকে আরও ৭৪.৫ লাখ রুপি নগদ বাজেয়াপ্ত করেছে ইডি।

তদন্তকারী সংস্থা মনে করছে, সংস্থাগুলোর জালিয়াতির সঙ্গে যুক্ত টাকার একটি অংশ হয়তো বিজ্ঞাপন খাতে ব্যবহৃত হয়েছে, যা মানি লন্ডারিংয়ের আওতায় পড়ে। মহেশ বাবুর প্রাপ্ত অর্থ এবং তার উৎস যাচাই করতেই তাকে জিজ্ঞাসাবাদের আওতায় আনা হচ্ছে।

এই প্রেক্ষাপটে মহেশ বাবুর ভবিষ্যৎ পদক্ষেপ এবং তার পক্ষে আইনজীবীদের ব্যাখ্যা এখন কৌতূহলের কেন্দ্রে। তদন্তের পরবর্তী ধাপেই নির্ধারিত হবে তার বিরুদ্ধে অভিযোগ কতটা প্রমাণিত হয়। ইডির তলব দক্ষিণ ভারতীয় সিনেমার অন্যতম প্রভাবশালী এই অভিনেতার ভাবমূর্তিতেও প্রভাব ফেলতে পারে বলে মনে করছেন বিশ্লেষকরা।

Please Share This Post in Your Social Media

More News Of This Category
© ২০২৫ প্রিয়দেশ