‘জঙ্গিবাদী চিন্তা ত্যাগ করুন নইলে পরিনতি খারাপ ’

উগ্র জঙ্গিবাদী চিন্তা চেতনা, যুদ্ধ ঘোষণা ও সাংঘর্ষিক রাজনীতির পথ পরিহার করে গণতান্ত্রিক রাজনীতির ধারায় জামায়াতে ইসলামকে ফিরে আসার আহ্বান জানিয়েছেন দপ্তরবিহীন মন্ত্রী সুরঞ্জিত সেনগুপ্ত এমপি। অন্যথায় নিজেদের পরিনতির জন্য প্রস্তুত হওয়ার হুঁশিয়ারী দিয়েছেন তিনি।

তিনি বলেন, জামায়াতের চলমান কর্মসূচি কোনো রাজনৈতিক কর্মসূচি হতে পারে না, এটা সংবিধান ও গণতন্ত্র পরিপন্থি।

বুধবার সকালে জাতীয় পাবলিক লাইব্রেরি মিলনায়তনে বঙ্গবন্ধু সাংস্কৃতিক জোট আয়োজিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তৃতায় সুরঞ্জিত সেনগুপ্ত এসব কথা বলেন।

“৭ নভেম্বর মুক্তিযোদ্ধা সৈনিক অফিসার হত্যা দিবস” উপলক্ষে আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়।

চলচ্চিত্র ব্যক্তিত্ত্ব এটিএম শামসুজ্জামানের সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি ছিলেন আইন প্রতিমন্ত্রী অ্যাডভোকেট কামরুল ইসলাম এমপি, ঢাকা মহানগর আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক শাহে আলম মুরাদ।

সুরঞ্জিত বলেন, বাংলাদেশের সংবিধান কাউকে জঙ্গিবাদী ও দেশের অভ্যন্তরে জিহাদের অধিকার দেয়নি। যদি কেউ এ ধরনের কর্মকান্ড ঘটায়, তাহলে তাকে প্রতিহতের দায়িত্ব নির্বাচিত গণতান্ত্রিক সরকারের।

বর্তমান সরকার কারো দয়া দাক্ষিন্যে ক্ষমতায় আসেনি উল্লেখ করে তিনি বলেন, জনগণ প্রত্যক্ষ ভোট দিয়ে সরকারকে ক্ষমতায় বসিয়েছে। তাদের যাবতীয় নিরাপত্তা নিশ্চিত করার দায়িত্ব সরকারের। সুতরাং কারো যদি সরকারকে বিপর্যয়ের মুখে ফেলার ইচ্ছা হয়। তাহলে ভেবে চিন্তে এগুনোর পরামর্শ দেন দপ্তরবিহীন এ মন্ত্রী।

সারাদেশে জামায়াতের তান্ডবের সূত্রপাত জিন্নাহ থেকে জিয়ার (জেড টু জেড) সময়েই হয়েছে উল্লেখ করে সুরঞ্জিত সেনগুপ্ত বলেন, ৭ নভেম্বর বাংলাদেশের অজস্র মুক্তিযোদ্ধা সৈনিক হত্যার পরিনতিই আজকের এই জঙ্গিবাদী তান্ডব।

যুদ্ধাপরাধের বিচারের রায়ের সময় যতই ঘনিয়ে আসছে- জামায়াতের জঙ্গিরা ততই অপ্রতিরোদ্ধ ও অসহিষ্ণু হয়ে উঠছে দাবি করে তিনি বলেন, যুদ্ধাপরাধের বিচার একটি আইনি প্রক্রিয়া। আইনের মাধ্যমেই তাদের আটক করা হয়েছে। এখানে কারো কোনো হাত নেই।

তিনি বলেন, যুদ্ধাপরাধের বিচারের আইন প্রনয়নে  দুটো পথই খোলা রাখা হয়েছে। এছাড়া উচ্চ আদালতে আপিলেরও সুযোগ আছে। তারপরেও কেন জামায়াত কর্মীরা এমন তান্ডব চালাচ্ছে।

তিনি জামায়াতের কর্মীদের উদ্দেশ্যে বলেন, সাংঘর্ষিক পথ পারিহার করে গণতন্ত্রের পথে রাজনীতির চর্চা করুন।

বিশেষ অতিথির বক্তৃতায় আইন প্রতিমন্ত্রী অ্যাডভোকেট কামরুল ইসলাম বলেন, বর্তমান কর্মকান্ড দেখেই বোঝা যায়, জামায়াত কতটা জঙ্গিবাদী রাজনীতির চর্চা করে। তাদের প্রতিহত করতে আইন শৃঙ্খলা রাক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরাও হিমশিম খাচ্ছে।

তিনি বলেন, এখনো তাদের সুযোগ আছে সঠিক পথে ফেরার। অন্যথায় আমরা যারা সরকারে আছি, জনগণের ম্যান্ডেট যাদের মাথায়, তারা রাস্তায় নামতে বাধ্য হলে আপনাদের (জামায়াত) পালানোর সুযোগ দেব না।

রাজনীতি