রাজধানীর মৌচাকে আবারো জামায়াত-শিবির ও পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এ সময় পুলিশ তাদের ওপর বেশ কয়েকটি টিয়ারশেল নিক্ষেপ করে। পুলিশের লাঠিচার্জে ২২ জন আহত হয়েছেন। এ ঘটনায় পাল্টা হামলায় পুলিশের ৬ সদস্য আহত হয়ে রাজারবাগ পুলিশ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন বলে জানিয়েছেন ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের জনসংযোগ বিভাগের উপকমিশনার মাসুদুর রহমান।
মঙ্গলবার বিকাল সাড়ে ৪টা থেকে ৫টা পর্যন্ত এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।
বিকাল সাড়ে ৪টায় মালিবাগ রেল গেট থেকে মিছিল নিয়ে মৌচাকের দিকে আসলে পুলিশ জামায়াত-শিবিরের নেতাকর্মীদের বাধা দেয়। এতে দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ শুরু হয়।
এ সংঘর্ষ চলাকালে মৌচাক-মালিবাগ-মগবাজার রোডে যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। এতে আশপাশের এলাকায় ব্যাপক যানজটের সৃষ্টি হয়।
৫টার দিকে আবার যান চলাচল স্বাভাবিক হয়ে আসে। এখনো এ এলাকায় থমথমে অবস্থা বিরাজ করছে। পুলিশ সতর্কাবস্থায় রয়েছে যাতে আবার জামায়াত-শিবিরের নেতাকর্মীরা নাশকতা সৃষ্টি না করতে পারে।
পুলিশের রমনা বিভাগের উপকমিশনার সৈয়দ নুরুল ইসলাম জানিয়েছেন, নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে মিছিল করায় তাদের বাধা দেয়া হয়। এ সময় পুলিশের ওপর হামলা করায় ৩৮ নেতাকর্মীকে আটক করা হয়। রমনা থানায় আটককৃতদের বিরুদ্ধে পুলিশের কাজে বাধা দেয়ার অভিযোগে দ্রুত বিচার আইনে মামলার প্রস্তুতি চলছে বলে জানিয়েছেন রমনা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা শাহ আলম।
রাজশাহীর সাহেববাজার জিরোপয়েন্টে পুলিশ কনস্টেবল মোশাররফের কাছ থেকে রাইফেল ছিনিয়ে নিয়ে তাকে মাটিতে ফেলে দেয় জামায়াত-শিবির ক্যাডাররা।
মোশাররফকে ঘিরে জামায়াত-শিবির ক্যাডাররা
জামায়াত-শিবির ক্যাডাররা পেটাচ্ছে পুলিশ সদস্য মোশাররফকে।
মোশারফফকে ধরাশায়ী করার পর…
মোশারফফকে ধরাশায়ী করার পর…
পুলিশ সদস্যরা বিশাল কনফেকশনারিতে আশ্রয় নিলে সেখানেও রাইফেল ও লাঠিসোটা হাতে চড়াও হয় শিবিরকর্মীরা।