জামায়াতকে গর্তে ঢুকিয়ে দেয়া হবে বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব-উল আলম হানিফ। তিনি বলেন, জামায়াত এমন একটি দল যারা সাপের মতো গর্তে লুকিয়ে থাকে। মাঝে মাঝে বেরিয়ে হামলা-ভাঙচুর করে। আমরা তাদের আবারো গর্তে ঢুকিয়ে দিতে পারব।
মঙ্গলবার বিকেলে ধানমন্ডি আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনার রাজনৈতিক কার্যালয়ে আওয়ামী লীগের সহযোগী সংগঠনগুলোর সঙ্গে বৈঠক শেষে সাংবাদিক সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।
হানিফ বলেন, বিএনপির মদদপুষ্ট হয়ে জামায়াতে ইসলামী যুদ্ধাপরাধীদের বিচার ঠেকাতে মাঠে নেমেছে। তারা যে কোনো মূল্যে যুদ্ধাপরাধীদের বিচার ঠেকাতে চায়। কিন্তু তাদের ষড়যন্ত্র সফল হবে না।
এ সময় দলের সহযোগী ও ভ্রাতৃপ্রতিম সংগঠনগুলোর সঙ্গে বৈঠকের সিদ্ধান্ত মোতাবেক কর্মসূিচ ঘোষণা করেন তিনি। জামায়াতকে প্রতিহত করতে বিক্ষোভ মিছিল ও প্রতিবাদ সমাবেশের ঘোষণা দেয়া হয়েছে।
আগামী ৮ নভেম্বর বাইতুল মোকাররমের উত্তর গেটে এবং ১০ নভেম্বর বঙ্গবন্ধু এভিনিউস্থ দলীয় কার্যালয়ের সামনে বিক্ষোভ সমাবেশের আয়োজন করা হয়েছে। ঢাকার পাশাপাশি সারাদেশে এ বিক্ষোভ সমাবেশ কর্মসূচি পালন করা হবে।
এছাড়া বুধবার ছাত্রলীগ বঙ্গবন্ধু এনিভিনিউর দলীয় কার্যালয়ের সামনে বিক্ষোভ সমাবেশের আয়োজন করেছে। তারা সারাদেশে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোতেও একই কর্মসূচি পালন করবে।
বিরোধীদলীয় নেতা খালেদা জিয়ার ভারত সফরের সঙ্গে জামায়াতের এই হামলার কোনো যোগসূত্র আছে কিনা সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে হানিফ বলেন, দুটি কারণে তারা এ হামলা চালাতে পারে। একটি হলো- খালেদা জিয়া জঙ্গিবাদী কোনো সংগঠনের সঙ্গে সম্পর্ক রাখবে না এটা জামায়াত বুঝতে পেরেছে। জামায়াত ছাড়া বিএনপি অনেকটা অচল। সুতরাং তাদের শক্তি জানান দিতে তারা এমনটি করতে পারে অথবা গর্তে লুকিয়ে থাকা জামায়াত তাদের হারানো শক্তি ফিরে পেতে এ মহড়া দেখিয়েছে।
হানিফ বলেন, দেশের মানুষ স্বাধীনতাবিরোধী শক্তিকে পছন্দ করে না। যে কারণেই রংপুরে সাধারণ জনগণ ঐক্যবদ্ধ হয়ে তাদের দলীয় কার্যালয় পুড়িয়ে দিয়েছে। আমরা সাধারণ জনগণকে সঙ্গে নিয়ে স্বাধীনতাবিরোধী শক্তিকে প্রতিহত করব।
জামায়াতকে রুখে দেয়ার ঘোষণা দিয়ে হানিফ বলেন, যাদের বিরুদ্ধে যুদ্ধাপরাধীর বিচার চলছে তাদের রক্ষার জন্য পরিকল্পিতভাবে জামায়াত যুদ্ধ ঘোষণা দিয়ে দেশের মধ্যে অস্থিতীশীল পরিবেশ তৈরি করছে। স্বাধীনতাবিরোধী শক্তির এ অপকর্ম আওয়ামী লীগ কোনোভাবেই বরদাশত করবে না। প্রয়োজনে রুখে দাঁড়াবে।
এক প্রশ্নের জবাবে এই আওয়ামী লীগ নেতা বলেন, তাদের নিয়ে এতবেশি উৎসাহ দেখিয়ে লাভ নেই। তাদের মোকাবিলা করতে বেশি চিন্তার প্রয়োজন নেই। আমরা আশা করি যে কর্মসূচি হাতে নিয়েছি এর মাধ্যমে তাদের গর্তে ঢুকিয়ে দেয়া যাবে।
বৈঠক সূত্র জানিয়েছে, তাৎক্ষণিক এ বৈঠকে আগামী নির্বাচন পর্যন্ত আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা ধারাবাহিকভাবে কর্মসূচি নিয়ে মাঠে থাকবে। কোনোভাবেই বিরোধী দল বিএনপি এবং জামায়াতকে রাজপথ দখল নিতে দেবে না।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক বিএম মোজাম্মেল হক, উপ-দফতর সম্পাদক মৃণাল কান্তি দাস, উপপ্রচার সম্পাদক অসীম কুমার উকিল, কেন্দ্রীয় নেতা সুজিত রায় নন্দী এবং স্বেচ্ছাসেবক লীগ, যুবলীগ, কৃষক লীগ, শ্রমিক লীগ, মহিলা আওয়ামী লীগ, যুব মহিলা লীগ, ছাত্রলীগ, আওয়ামী আইনজীবী পরিষদের নেতারা।