সোমবার থেকে জামায়াত নৈরাজ্য সৃষ্টি করার হুমকি দেওয়ায় যুদ্ধাপরাধ বিচারে গঠিত আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালকে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা হয়েছে। শুধু ট্রাইব্যুনালই নয়, ঢাকা শহরের বিভিন্ন স্পর্শকাতর স্থান যেমন সচিবালয়, বায়তুল মোকাররম মসজিদ, শাহবাগ, হাইকোর্ট ছাড়িয়ে মৎস্য ভবন, মালিবাগ রেলগেট ইত্যাদি বিভিন্ন জায়গায় নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা হয়েছে।
গতকাল সোমবার আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের সামনে ডিএমপি�র রমনা জোনের ডিসি সৈয়দ নূরুল ইসলাম বলেন, ট্রাইব্যুনালে প্রবেশের সবগুলো ফটকেই নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা হয়েছে। যেহেতু এখানে মানবতাবিরোধী অপরাধের বিচার চলছে এবং জামায়াত যে কোনো মূল্যে এ বিচার প্রতিহত করার ঘোষণা দিয়েছে, সেহেতু এ ট্রাইব্যুনাল এখন একটি অত্যন্ত স্পর্শকাতর স্থান।
তিনি বলেন, গতকাল সোমবার ট্রাইব্যুনালের প্রতিটি ফটকে সবাইকে ও গাড়িতে তল্লাশি চালানো হয়েছে। ট্রাইব্যুনালের রেজিস্ট্রারের অনুমোদন ছাড়া কাউকে ট্রাইব্যুনালের ভেতরে ঢুকতে দেওয়া হয়নি। এমন কি প্রবেশের অনুমতি না থাকায় অনেক আইনজীবীকেও ফেরত পাঠানো হয়েছে।
তিনি বলেন, জামায়াত ঘোষণা দিয়েছে যে, তারা শক্তি প্রদর্শন করবে। যেহেতু এটা অত্যন্ত নেতিবাচক একটি বিষয়, তাই তাদের এ ঘোষণার প্রেক্ষিতে আমরা নিরাপত্তা ব্যবস্থার ক্ষেত্রে কঠোর অবস্থান নিয়েছি।
সাঈদীর পক্ষের সাক্ষী সুখরঞ্জন বালীকে ট্রাইব্যুনালের প্রধান ফটকের সামনে থেকে সাদা পোশাকধারী পুলিশ ধরে নিয়ে গেছে- জামায়াতের এ অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, অননুমোদিত অনেককেই এখানে ঢুকতে দেওয়া হয়নি। ফটকের বাইরে থেকে কে কোথায় গিয়েছে, সেটা আমাদের দেখার বিষয় নয়।