পশুর কাঁচা চামড়া রফতানির ব্যাপারে দ্বিমত পোষণ করেছেন ট্যানারি মালিক ও চামড়া ব্যবসায়ীরা।
সোমবার বাণিজ্য সচিবের সঙ্গে কাঁচা চামড়া রফতানি ইস্যুতে বৈঠকে ব্যবসায়ী নেতারা চামড়া রফতানির বিপক্ষে মত দেন। তারা চামড়া রফতানি নিয়ে সরকারের চিন্তা-ভাবনার বিরোধিতা করে লিখিত বক্তব্য পেশ করেন।
সোমবার সচিবালয়ে বাণিজ্য সচিব মাহবুব আহমেদের সঙ্গে বৈঠক শেষে বাংলাদেশ লেদার গুডস অ্যান্ড ফুটওয়ার ম্যানুফ্যাকচার্স এঙপোর্ট অ্যাসোয়িশেন ও বাংলাদেশ হাইড অ্যান্ড স্কিন মার্চেন্ট অ্যাসোসিয়েশনসহ সংশ্লিষ্ট সংগঠনের নেতৃবৃন্দ বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে এসব কথা বলেছেন।
নেতারা বলেন, চাহিদানুযায়ী চামড়ার জোগান কম। এছাড়া চামড়া শিল্পে চীনের বেশকিছু প্রতিষ্ঠান রয়েছে যারা বিনিয়োগ করার ব্যাপারে আগ্রহ প্রকাশ করেছে।
বৈঠকে নেতৃবৃন্দ বলেন, বছরে ৭৫ থেকে ৮০ লাখ চামড়ার জোগান রয়েছে। ট্যানারি শিল্পের ফিনিস্ড গুডস নিতে চায় চীন। এ অবস্থায় মৌসুমি ব্যবসায়ীদের কথায় কাঁচা চামড়া রফতানির সরকারি মনোভাব সঠিক নয়।
ট্যানারি মালিকরা জানান, বছরে ২২ মিলিয়ন ঘনফুট চামড়া উৎপাদন হয়। চাহিদা রয়েছে এর দ্বিগুণ। তবে আন্তর্জাতিক বাজারে এখন চামড়ার দাম কম।
বর্তমান পরিস্থিতিতে ঈদের সময় চামড়ার দাম কম থাকার বিষয়ে তারা বলেন, আমরা চামড়া কিনছি ৮০ থেকে ৯০ টাকা ঘনফুট হিসেবে। তবে উৎপাদন পর্যায় থেকে আমাদের হাতে এসে পৌঁছতে চার হাতবদল হয়। এ কারণে দাম কম হতে পারে প্রাথমিক পর্যায়ে।
বাণিজ্য সচিব ব্যবসায়ীদের জানান, ট্যানারি মালিকরা চামড়ার ন্যূনতম দাম নির্ধারণ করে দিলে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি হতো না। এ বিষয়ে পরবর্তী করণীয় সম্পর্কে নির্দশনাও দেন সচিব।
উল্লেখ্য, গত ৩১ অক্টোবর বাণিজ্যমন্ত্রী জিএম কাদের চামড়া রফতানির ব্যাপারে সরকারের চিন্তা-ভাবনার কথা জানান। ব্যবসায়ীদের সঙ্গে রফতানির সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত করতে আলোচনার ঘোষণা দেন।