সংগীত সম্রাজ্ঞী লতা মঙ্গেশকার একসময় এই উপমহাদেশের কিংবদন্তী সংগীতকার ভুপেন হাজারিকার সঙ্গে প্রেমের সম্পর্কে জড়িয়েছিলেন। লতা যেমন ছিলেন ভুপেনের প্রেমে পাগল তেমনি ভুপেনও। এই প্রেমের কথা ভুপেন হাজারিকা তার আত্মজীবনী ‘আমি এক যাযাবর’ বইয়ে লিখেও গেছেন।
মুম্বাইর এক নাম করা গায়িকার সঙ্গে তার প্রেমের কথা ভুপেন হাজারিকা লিখে গেলেও কোথাও নামটি প্রকাশ করেননি। কিন্তু এতোদিন পরে সেই নামটিই প্রকাশ্যে এনেছেন ভুপেন হাজারিকার কানাডা প্রবাসী সাবেক স্ত্রী প্রিয়ংবদা পটেল।
ভুপেন হাজারিকার প্রথম মৃত্যুবার্ষিকীতে যোগ দিতে তিনি আসামে এসেছিলেন। সেই সময় তিনি একটি অসমীয়া টেলিভিশনের সঙ্গে এক সাক্ষাৎকারে বলেন যে, তার ১৩ বছরের দাম্পত্য জীবন ভেঙে গিয়েছিল লতা মঙ্গেশকারের জন্যই। তিনি শুনিয়েছেন কিভাবে লতা ও ভুপেন প্রেমে পাগল হয়ে উঠেছিল।
প্রিয়ংবদা জানিয়েছেন, কলকাতার টালিগঞ্জে ভুপেন হাজারিকার ফ্ল্যাটে প্রায়ই ছুটে চলে আসতেন লতা মঙ্গেশকার ভুপেন হাজারিকার সঙ্গে দেখা করবেন বলে। রাতের পর রাত লতা ও ভুপেন দরজা বন্ধ করে ঘরের মধ্যে কাটিয়েছেন। আর স্ত্রী হিসেবে তিনি দরজার বাইরে অপেক্ষা করেছেন। জিজ্ঞেস করলে বলতেন, ‘কেতিয়াবা করিব লাগে’ (অমন একটু আধটু করতেই হয়)।
এই সাক্ষাৎকার প্রচার হওয়ার পর চারদিকে প্রবল শোরগোল পড়ে গিয়েছে। অবশ্য ভুপেন হাজারিকার শেষ জীবনের সঙ্গী কল্পনা লাজমিও এই সাক্ষাৎকার নিয়ে খুবই বিরক্ত। আর লতা এই সাক্ষাৎকারের খবর জেনে বেশ ক্ষুব্ধ।
লতা জানিয়েছেন, আমি প্রচন্ড আহত। এই বয়সে এমন একটা কথা শুনতে হবে আমি তা কোনদিন স্বপ্নেও ভাবতে পারিনি। এই ঘটনার ফলে ভুপেনদার মতো মানুষকেই অপমান করা হয়েছে।
তবে তিনি প্রিয়ংবদার বিরুদ্ধে আইনের পথে যেতে পারেন বলে তার ঘনিষ্ঠ সূত্রে জানানো হয়েছে। ইতিমধ্যেই আইনি পরামর্শ নিতে শুরু করেছেন তিনি।