সুপার এইটের লক্ষে ভোরে নেপালের মুখোমুখি বাংলদেশ

সুপার এইটের লক্ষে ভোরে নেপালের মুখোমুখি বাংলদেশ

২০০৭ সালে প্রথম বিশ্বকাপেই সুপার এইটে উঠেছিল বাংলাদেশ। এরপর আর কোনো আসরেই প্রথম রাউন্ডের বাধা টপকাতে পারেনি। দ্বিতীয়বারের মতো বিশ্বকাপের সুপার এইটে খেলার সুর্বণ সুযোগ এখন বাংলাদেশের সামনে। সুপার এইটের লড়াইয়ে আগামীকাল ক্যারিবীয় দ্বীপদেশ সেন্ট ভিনসেন্টের আর্নস ভেল স্টেডিয়ামে গ্রুপ পর্বের শেষ ম্যাচে নেপালের মুখোমুখি হবে বাংলাদেশ। এদিন ম্যাচটি জিতলেই সুপার এইট নিশ্চিত টাইগারদের।

নবম আসরে শ্রীলঙ্কাকে দুই উইকেটে হারিয়ে বিশ্বকাপ যাত্রা শুরু করেছিল বাংলাদেশ। কিন্তু নিজেদের দ্বিতীয় ম্যাচে মাত্র ১১৪ রান তাড়া করতে নেমে দক্ষিণ আফ্রিকার কাছে চার রানের হেরেছে টাইগাররা। প্রোটিয়াদের কাছে মাত্র চার রানের হারে হৃদয় ভাঙলেও বাংলাদেশের আত্মবিশ্বাসে চিড় ধরেনি। তৃতীয় ম্যাচে নেদারল্যান্ডসকে ২৫ রানে হারায় টাইগাররা। তিন ম্যাচে ৪ পয়েন্ট নিয়ে টেবিলের দ্বিতীয় স্থানে থেকে সুপার এইটে কাছাকাছি বাংলাদেশ।

সুপার এইটে খেলতে হলে বাংলাদেশের সামনে সহজ সমীকরণ হলো- শেষ ম্যাচে নেপালকে হারাতে হবে। অথবা অন্তত ১টি পয়েন্ট পেলেই এই গ্রুপ থেকে দক্ষিণ আফ্রিকার পর দ্বিতীয় দল হিসেবে সুপার এইটে খেলবে টাইগাররা। আর যদি নেপালের কাছে হেরে যায়, তাহলে এই গ্রুপে নেদারল্যান্ডস ও শ্রীলঙ্কার ম্যাচের ফলাফলের দিকে তাকিয়ে থাকতে হবে বাংলাদেশকে।

ওই ম্যাচে ডাচরা জিতলে, বাংলাদেশের সমান ৪ পয়েন্ট হবে নেদারল্যান্ডসের। তখন রান রেট বিবেচনা করা হবে। বর্তমানে নেদারল্যান্ডসের চেয়ে রান রেটে বেশ এগিয়ে বাংলাদেশ। এখন বাংলাদেশের রান রেট ০.৪৭৮ এবং নেদারল্যান্ডসের রান রেট -০.৪০৮। তাই নেপালের কাছে হারলেও ব্যবধানটা যেন বড় না হয় সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে বাংলাদেশকে।

মাঠের লড়াইয়ের দুই দলের পরিসংখ্যানে এগিয়ে টাইগাররা। এখন পর্যন্ত একবার আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে মুখোমুখি হয়েছে বাংলাদেশ-নেপাল। সেটি ২০১৪ সালের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে। প্রথম রাউন্ডে গ্রুপ ‘এ’র ম্যাচে নেপালকে ৮ উইকেটে উড়িয়ে দিয়েছিলো টাইগাররা।

আগামীকাল বাংলাদেশে ঈদুল আজহা উদযাপিত হবে। এ দিন নেপালের বিপক্ষে মাঠে নামবে বাংলাদেশ। ঈদের দিন নেপালের বিপক্ষে জয়ের স্বাদ নিয়ে দেশের মানুষের মুখে হাসি ফোটাতে চান দলের সেরা অলরাউন্ডার সাকিব আল হাসান। ‘নেপালের বিপক্ষে ম্যাচটি গুরুত্বপূর্ণ। জিতলেই আমরা দ্বিতীয় রাউন্ডে। স্বাভাবিকভাবেই মুখিয়ে আছি সামনের ম্যাচের জন্য। আশা করি, ঈদের দিনে আমরা মানুষের মুখে হাসি ফোটাতে পারব।’

এদিকে তিন ম্যাচে জয়ের স্বাদ না পাওয়া নেপাল শেষ ম্যাচে বাংলাদেশকে হারাতে চায়। নেপালের অধিনায়ক রোহিত পাউডেল বলেন, ‘বিশ্বকাপে শেষ ম্যাচটা জয়ে দিয়ে শেষ করতে চাই। বাংলাদেশ শক্তিশালী প্রতিপক্ষ। সুপার এইট নিশ্চিত করতেই জয়ের জন্য মরিয়া থাকবে তারা। তবে আমরা শেষ ম্যাচে নিজেদের সেরাটা দিতে মুখিয়ে আছি।’

সুপার এইটের এই লড়াইয়ে মাঠে নামার আগে সংবাদ সম্মলনে আসেন টাইগার পেসার তানজিম সাকিব। নেপালকে সমীহ করেই তিনি বলেছেন, আক্রমণাত্মক ক্রিকেট খেলব আগের ম্যাচের মতো। তিনি বলেন, ‘আমরা আগের মতোই আক্রমণাত্মক ক্রিকেট খেলব। নেপাল ভালো খেলেছে, প্রশংসা করছি তাদের। তবে আমরাও আমাদের সেরা ক্রিকেট খেলার চেষ্টা করব।’

বাংলাদেশ দল: নাজমুল হোসেন শান্ত (অধিনায়ক), তাসকিন আহমেদ (সহ-অধিনায়ক), লিটন দাস, সৌম্য সরকার, তানজিদ হাসান তামিম, সাকিব আল হাসান, তাওহিদ হৃদয়, মাহমুদুল্লাহ রিয়াদ, জাকের আলি অনিক, তানভির ইসলাম, মাহেদি হাসান, রিশাদ হোসেন, মুস্তাফিজুর রহমান, শরিফুল ইসলাম ও তানজিম হাসান সাকি।

খেলাধূলা শীর্ষ খবর