দীর্ঘ লড়াই শেষে না ফেরার দেশে অভিনেত্রী সীমানা

দীর্ঘ লড়াই শেষে না ফেরার দেশে অভিনেত্রী সীমানা

অবশেষে অভিনেত্রী ও মডেল রিশতা লাবনী সীমানার ১৪ দিনের দীর্ঘ লড়াই শেষ হলো। মঙ্গলবার (৪ জুন) সকাল ৬টায় মাত্র ৩৯ বছর বয়সে না ফেরার দেশে চলে গেলেন তিনি (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)। তার মৃত্যুর খবর নিশ্চিত করেছেন সীমানার ছোট ভাই এজাজ বিন আলী। মৃত্যুকালে স্বামী, দুই ছেলে রেখে গেছেন সীমানা।

গত ২১ মে রাতে হঠাৎ অসুস্থ হয়ে পড়েন সীমানা। সেদিন রাত সাড়ে ১১টার দিকে তাকে দ্রুত ধানমন্ডির বেসরকারি একটি হাসপাতালে ভর্তি করানো হলে জানতে পারেন, মস্তিষ্কে রক্তক্ষরণ হয়েছে। পরদিন আরও উন্নত চিকিৎসার জন্য সীমানাকে ধানমন্ডির আরেকটি হাসপাতালে নেওয়া হয়। এরপর চিকিৎসকদের পরামর্শে তাকে ঢাকার আগারগাঁওয়ের ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব নিউরোসায়েন্স হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়। গেল কয়েকদিন সেখানেই চিকিৎসাধীন ছিলেন। গত শনিবার এই হাসপাতালে তার মস্তিষ্কে অস্ত্রোপচার হয়। গত বুধবার বিকেল থেকে সীমানার চিকিৎসা চলছিল ঢাকার বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে।

সীমানার শারীরিক অবস্থা প্রতিনিয়ত অবনতি হয়েছে। শুরুর দিকে তাকে আইসিইউতে রাখা হলেও বুধবার থেকে লাইফ সাপোর্টে রাখা হয়। বুধবার বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে আনার পর পরীক্ষা–নিরীক্ষা করে তাকে লাইফ সাপোর্টে রাখা হয়েছিল। গতকাল রোববার সীমানার ভাই এজাজ বিন আলী জানান, তার অবস্থার আরও অবনতি হয়েছে। আজ সব চেষ্টা ব্যর্থ করে সীমানা চলে যান না ফেরার দেশে।

২০০৬ সালে লাক্স-চ্যানেল আই সুপারস্টার প্রতিযোগিতার মাধ্যমে শোবিজে পা রাখেন সীমানা। এরপর থেকে তিনি নাটক, বিজ্ঞাপনে নিয়মিত কাজ করেন। দেখা গেছে, তৌকীর আহমেদ পরিচালিত বহুল প্রশংসিত ছবি ‘দারুচিনি দ্বীপ’ এর মতো সিনেমাতেও। কিন্তু হঠাৎ ২০১৬ সাল থেকে অভিনয়ে বিরতি। পরে জানা যায়, মা হওয়ার জন্যই এই বিরতি। দুবার মা হওয়ার কারণে তার এই দীর্ঘ বিরতি। বিরতি ভেঙে গত বছর আবার নাটকে অভিনয় শুরু করেন। সীমানার দুই সন্তান। বড় সন্তান শ্রেষ্ঠর বয়স আট, আর ছোট সন্তান স্বর্গ তিন বছর বয়সী।

আন্তর্জাতিক শীর্ষ খবর