প্রায় দুই বছর যাবত টেস্টে উদ্বোধনী জুটিতে শতরান নেই গৌতম গম্ভীর ও বীরেন্দ্র শেবাগের। এই দুই ব্যাটসম্যানের ওপেনিং জুটি থাকা না থাকা নিয়ে এরই মধ্যে গুঞ্জনও শুরু হয়েছে। কিন্তুু গম্ভীর জোর দিয়েই বলেছেন তাদের ওপেনিং জুটিই সেরা।
গম্ভীর ও শেবাগের জুটি এখনো টেস্টে ভারতের অন্যতম নির্ভরযোগ্য জুটি। এছাড়া টেস্টে ওপেনিংয়ে ৪ হাজার রানের বেশি আছে এমন ৫ জুটির বিরল ক্লাবের সদস্য তারা। কিন্তু গত কয়েক বছরে এই জুটির অবস্থান নড়বড়ে হয়ে পড়েছে।
এই বিষয়ে বার্তাসংস্থা পিটিআইকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে গম্ভীর বলেন,‘ওপেনিং জুটিতে এখনো ৫৩ রানের গড় রয়েছে আমাদের। বিশ্ব ক্রিকেটের প্রেক্ষাপটে আমি মনে করি এটা ওপেনিংয়ে অন্যতম সেরা।’
‘অনেক ওপেনিং জুটিই আমাদের মতো এতটা দীর্ঘসময় জুটিবদ্ধ থাকতে পারেনি এবং ৫৩ রানের গড়ও নেই তাদের। আর যদি ৫৩ রান ওপেনিংয়ে যথেষ্ট মনে না হয়, আমি জানি না এর চেয়ে কত বেশি হলে সেটা ভাল গড় হবে।’
‘আপনি ওপেনিংয়ে প্রতিটি ইনিংসে ৫০ রান করছেন। আপনি যদি প্রতিটি ইনিংসে ৫০ রানের শুরু এনে দেন আর লোকজন যদিও এরপরও কথা বলে যে, আমরা অবদান রাখছি না তাহলে কিছুই বলার নেই। আমি শুধু তাদেরকে ওপেনিং জুটির রানের গড়ের পরিসংখ্যান দেখার পরামর্শ দিতে পারি।’ বলেন গম্ভীর।
গম্ভীর ও শেবাগের ওপেনিং জুটির গড় এখনো যথেস্ট ভাল, তারপরও এই জুটি এখন নির্বাচকদের আতশী কাচের নিচে। অস্ট্রেলিয়ায় ভারতের বাজে সফরের পর ওপেনিং জুটি নিয়েও ভাবছেন নির্বাচকরা। গত মৌসুমে অস্ট্রেলিয়া সফরে আট ইনিংসে গম্ভীর ও শেবাগের ওপেনিং জুটির গড় ছিল মাত্র ২৬। এছাড়া প্রায় তিন বছর ধরে গম্ভীরের ব্যাটে টেস্ট সেঞ্চুরি নেই। তবে গম্ভীরের মতে শুধু শতক দিয়েই কোনো ব্যাটসম্যানকে বিচার করা চলে না।
‘এটা সবসময়েই শতরানের বিষয় নয়। আপনি যখন ওপেনিং করবেন তখন ব্যাটিংয়ে অবদান রাখাই মূল বিবেচ্য বিষয়। এটা শুধু আমার বেলায় নয়, প্রত্যেকের ব্যাটসম্যানের বেলাতে এটা প্রয়োজ্য যারা শতরান পাচ্ছে না।’
গম্ভীর আরো বলেন,‘আমি জানি না, কেন লোকজন শুধু শতরান নিয়ে ভাবে। দক্ষিণ আফ্রিকা সফরে আমি ৯৩ রান করেছি, অস্ট্রেলিয়াতেও ৮৩ রানের ইনিংস ছিলো যেখানে অল্পের জন্য আমি শতক পাইনি। লোকজন সেটা নিয়ে বলাবলি করেনা।’
নভেম্বরে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে হোম সিরিজে মুখোমুখি হচ্ছে ভারত। এই সিরিজেও গম্ভীর ও শেবাগ জুটিই ভারতের হয়ে ওপেন করবেন বলে আশা করা হচ্ছে।