চট্টগ্রাম টেস্টের প্রথম ইনিংসে ৬ ফিফটিতে ৫৩১ রানের বিশাল পুঁজি দাঁড় করিয়েছে শ্রীলঙ্কা। প্রথম দিন হাফ সেঞ্চুরি করেন দুই ওপেনার নিশান মাদুশঙ্কা, দিমুথ করুণারত্নে এবং ওয়ানডাউনে নামা কুশল মেন্ডিস।
আজ দ্বিতীয় দিনে অর্ধশতকের মাইলফলক স্পর্শ করেন দিনেশ চান্দিমাল, ধনঞ্জয়া ডি সিলভা ও কামিন্দু মেন্ডিস। তাদের অটল ও ভারসাম্যহীন ব্যাটিংয়ে বাংলাদেশের সামনে রানের পাহাড় গড়েছে শ্রীলঙ্কা।
লঙ্কানদের হয়ে আজ দ্বিতীয় দিনের খেলা শুরু করেন চান্দিমাল ও ধনঞ্জয়া। দুই জনেই হাঁকান ফিফটি। অবশেষে তাদের ৮৬ রানের জুটি ভাঙেন সাকিব আল হাসান। চান্দিমালকে (১০৪ বলে ৫৯) বিহাইন্ড দ্য উইকেটে লিটন দাসের হাতের ক্যাচ বানান সাকিব। প্রথম সেশনে বাংলাদেশের সফলতা বলতে কেবল একটি উইকেট।
দ্বিতীয় সেশনের প্রথম ওভারেই লঙ্কান ব্যাটার ধনঞ্জয়াকে ফেরান খালেদ আহমেদ। ১১১ বলে ৭০ রান করা এই ব্যাটারকে এলবিডব্লিউর ফাঁদে ফেলেন টাইগার পেসার। এই সেশনে আরও একটি উইকেট নেন সাকিব। প্রবাত জয়সুরিয়াকে (৭৫ বলে ২৮) এলবিডব্লিউ করেন টাইগার অলরাউন্ডার।
তৃতীয় সেশনে বিশ্ব ফার্নান্ডোকে (২৬ বলে ১১) রানআউট করেন নাজমুল হোসেন শান্ত। মেহেদি হাসান মিরাজের বলে বোল্ড হন লাহিরু কুমারা (১২ বলে ৬) ও রানের খাতা খোলার আগে আসিথা ফার্নান্ডোকে রানআউট করেন তাইজুল ইসলাম।
এর আগে গতকাল শনিবার চট্টগ্রাম জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে টস জিতে ব্যাট করতে নেমে প্রথম দিন শেষে তিন হাফ সেঞ্চুরিতে স্কোরবোর্ডে ৪ উইকেট হারিয়ে ৩১৪ রান তুলে লঙ্কানরা।
ব্যাটিংয়ে নেমে ৯৬ রানের বিশাল জুটি গড়ে তোলেন দুই লঙ্কান ওপেনার। ওই দিন দ্বিতীয় সেশনের শুরুতে জুটি ভাঙে টাইগাররা। মেহেদী হাসান মিরাজের বলে দুই রান নিতে গিয়ে সঙ্গীর সঙ্গে ভুল বোঝাবুঝিতে রানআউট হন হাফসেঞ্চুরিয়ান মাদুশঙ্কা (৫৭)।
সেশনের শেষদিকে এসে বাংলাদেশ পেয়েছে আরও একটি উইকেট। কুশল মেন্ডিস এবং দিমুথ করুনারতেœর ১১৪ রানের জুটিটি ভাঙেন অভিষিক্ত হাসান মাহমুদ। ডানহাতি এই পেসারের বাইরের বলে ড্রাইভ খেলতে গিয়ে উইকেটে টেনে এনে বোল্ড হন সেঞ্চুরির দোরগোড়ায় থাকা করুনারতেœ (১২৯ বলে ৮৬ রান)।
তৃতীয় সেশনে আরও দুটি উইকেট তুলে নেয় বাংলাদেশের বোলাররা। সেঞ্চুরি থেকে মাত্র ৭ রান দূরে থাকা (১৫০ বলে ৯৩) লঙ্কান ব্যাটার কুশল মেন্ডিস টাইগার অলরাউন্ডার সাকিবের একটি আউট সুইং বলে খোঁচা দিতে গিয়ে মিরাজের হাতে ধরা পড়েন।
চতুর্থ উইকেটে দিনেশ চান্ডিমালের সঙ্গে ম্যাথিউজের জুটিটা বড় হয়নি। মাত্র ২৬ রানের। পেসার হাসান মাহমুদের বলে মিরাজের হাতে ক্যাচ দেন ম্যাথিউজ। ২৩ রানে আউট হন তিনি।
বাংলাদেশের হয়ে ৩টি উইকেট নেন সাকিব। ২ উইকেট শিকার করেন হাসান মাহমুদ ও ১টি করে উইকেট নেন খালেদ আহমেদ ও মেহেদি হাসান মিরাজ।