মধ্যরাতে ছাত্রলীগের অনুপ্রবেশ ইস্যুতে বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ে (বুয়েট) সাধারণ শিক্ষার্থীদের যে আন্দোলন চলছে এর পেছনে কারও ইন্ধন আছে কি না, সেটা খতিয়ে দেখা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী মহিবুল হাসান নওফেল। বুয়েটে রাজনীতি নিষিদ্ধ হলেও রাষ্ট্রীয় দিবস পালনে বাধা দিলে ব্যবস্থা নেওয়ার হুঁশিয়ারি দিয়েছেন তিনি।
আজ শনিবার (৩০ মার্চ) দুপুরে রাজধানীর আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ইনস্টিটিউটে এক অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।
বুয়েটের চলমান আন্দোলন প্রসঙ্গে মন্ত্রী বলেন, পেছন থেকে কেউ ইঙ্গিত দিচ্ছে কি না, পেছন থেকে কেউ কি জঙ্গিবাদী কিংবা উগ্রবাদী মানসিকতার কিছু ইঙ্গিত দিচ্ছে কি না, সেটা অবশ্যই খতিয়ে দেখতে হবে। কারণ এই আলোচনাটা বারবার আসছে।
শিক্ষামন্ত্রী বলেন, কিছুদিন আগেও অনেকে অভিযোগ করেছেন কিছু জঙ্গিবাদী গোষ্ঠী গোপনে সেখানে কার্যক্রম পরিচালনা করছে। এমন একটি আলোচনা-সমালোচনা ছিল। সে বিষয়টি আমরা আরও গভীরভাবে তদন্ত করব। তবে চলমান আন্দোলন নিয়ে শিক্ষার্থীসহ উভয় পক্ষকে আহবান জানাব, সেখানে শিক্ষার পরিবেশ যাতে নষ্ট না হয় সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে।
এর আগে দুপুর ১২টার দিকে মন্ত্রী ‘বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলা- শেখ হাসিনার স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণের চ্যালেঞ্জ ও সমাধানের পথ’ শীর্ষক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে অংশ নেন।
আলোচনা সভার আয়োজন করে বিসিএস জেনারেল এডুকেশন অ্যাসোসিয়েশন। এতে বিশেষ অতিথি ছিলেন শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগের সচিব সোলেমান খান এবং মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তরের (মাউশি) মহাপরিচালক অধ্যাপক নেহাল আহমেদ। মুখ্য আলোচক ছিলেন অধ্যাপক ড. রতন সিদ্দিকী।
অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন বিসিএস জেনারেল এডুকেশন অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি অধ্যাপক মো. শাহেদুল খবির চৌধুরী। সঞ্চালনায় ছিলেন সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক শওকত হোসেন মোল্যা।