নিষেধাজ্ঞা থাকলেও বাংলাদেশে পেঁয়াজ রপ্তানি করবে ভারত

নিষেধাজ্ঞা থাকলেও বাংলাদেশে পেঁয়াজ রপ্তানি করবে ভারত

অভ্যন্তরীণ বাজারে ক্রমবর্ধমান দাম নিয়ন্ত্রণ ও নির্বাচনের আগে পর্যাপ্ত সরবরাহ বহাল করতে পেঁয়াজ রপ্তানিতে নিষেধাজ্ঞা জারি রেখেছে ভারত সরকার। তবে, দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক জোরদার রাখতে এর মধ্যেও বাংলাদেশে সীমিত আকারে পেঁয়াজ রপ্তানির অনুমতি দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে তারা।

দেশটির পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সুপারিশে বাংলাদেশ ছাড়াও চারটি দেশে সরকারিভাবে সীমিত আকারে পেঁয়াজ রপ্তানির এ অনুমতি দিতে যাচ্ছে ভারত সরকার। দেশগুলো হলো- নেপাল, ভুটান, বাহরাইন ও মরিশাস।

সোমবার ভারতীয় সংবাদমাধ্যম ইকোনমিক টাইমসের একটি প্রতিবেদনের বরাত দিয়ে এ তথ্য নিশ্চিত করেছে বাংলাদেশ সংবাদ সংস্থা (বাসস)।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, পেঁয়াজ রপ্তানির ওপর সম্পূর্ণ নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারের বিষয়ে কোনও সিদ্ধান্ত না হলেও, দ্বিপক্ষীয় উদ্দেশে সীমিত পরিসরে পেঁয়াজ রপ্তানির অনুমতি দেওয়া হয়েছে। তবে, কী পরিমাণ রপ্তানি করা হবে তা নিয়ে বিস্তারিত তথ্য এখনও জানা যায়নি।

সূত্রমতে, নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার সম্পর্কিত বিভিন্ন শর্তাবলির বিষয়ে আগামী দু-এক দিনের মধ্যে বিজ্ঞপ্তি দিয়ে বিস্তারিত জানানো হবে ভারত সরকারের পক্ষ থেকে।

এর আগে পবিত্র রমজান মাসে দেশের বাজারে পেঁয়াজের দাম কমাতে নির্দিষ্ট পরিমাণে চিনি ও পেঁয়াজ রপ্তানির অনুমতি দিতে ভারত সরকারকে আনুষ্ঠানিক চিঠি দিয়েছিল বাংলাদেশ।

প্রসঙ্গত, বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম পেঁয়াজ রপ্তানিকারক দেশ ভারত। ২০২৩ সালের ৮ ডিসেম্বর পেঁয়াজ রপ্তানিতে নিষেধাজ্ঞা জারি করে দেশটির সরকার। পরে এই নিষেধাজ্ঞা চলতি বছরের মার্চ পর্যন্ত বাড়ানো হয়। কারণ, অভ্যন্তরীণ বাজারেক্রমবর্ধমান দাম নিয়ন্ত্রণ ও নির্বাচনের আগে পর্যাপ্ত সরবরাহ নিশ্চিত করতে চেয়েছিল দেশটি।

রপ্তানি আটকাতে প্রথমে পেঁয়াজের ওপর ৪০ শতাংশ শুল্ক আরোপ করেছিল ভারত। কিন্তু তাতেও আশানুরূপ ফল না আসায় পেঁয়াজ রপ্তানির ওপর সম্পূর্ণ নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয় কেন্দ্রীয় সরকারের পক্ষ থেকে। তবে, দ্বিপক্ষীয় সম্পর্কের ভিত্তিতে এবার বাংলাদেশসহ ৫টি দেশের জন্য এই নিষেধাজ্ঞা সীমিত আকারে তুলে নেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে ভারত সরকার।

অর্থ বাণিজ্য