কৃষিমন্ত্রী ড. মো. আব্দুস শহীদ বলেছেন, জার্মানি উন্নত দেশ, কৃষিতে তারা অনেক উন্নত। তাদের রাষ্ট্রদূত আমাদের সহযোগিতা করতে চান বলে জানিয়েছেন। তবে আমরা যেকোনো প্রকল্প নেই না কেন উৎপাদনের বিষয় থাকলে মানের দিক থেকে আপস করব না। দুর্নীতির বিষয়ে আমাদের জিরো টলারেন্স।
আজ বুধবার (১৭ জানুয়ারি) দুপুরে সচিবালয়ে কৃষিমন্ত্রীর দপ্তরে জার্মানির রাষ্ট্রদূত অসীম ট্রোস্টার সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন। সাক্ষাৎ শেষে সাংবাদিকদের তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, বাংলাদেশ স্বাধীনতা যুদ্ধের সময় থেকে জার্মানির সঙ্গে আমাদের একটা সুসম্পর্ক রয়েছে। তারা আমাদের পরীক্ষিত বন্ধু।
কৃষি খাতে জার্মানি কোনো ধরনের সহযোগিতা করতে চায় এমন প্রশ্নের জবাবে কৃষিমন্ত্রী বলেন, পূর্বাঞ্চলে আমরা একটি ইন্টারন্যাশনাল এগ্রিকালচার প্ল্যান্ট করতে চাচ্ছি। এ জন্য আমাদের কৃষি বিজ্ঞানীরা পরীক্ষা করে দেখবেন সেটি কতটুকু আমাদের জন্য সহায়ক হবে। সেক্ষেত্রে আমরা টেকনিক্যাল স্টাডিগুলো করব। এরপর ফলাফল যদি আমাদের পক্ষে আসে তাহলে সে প্রকল্প এগিয়ে নেব। বিদেশ থেকে আমরা যে সহযোগিতা পাব সেটা যাচাই বাছাই করে আমাদের কাজে কতটুকু ব্যবহার করা যাবে তা বের করব।
তিনি বলেন, উৎপাদন যাতে বেশি হয়, ফসল বেশি হয় সেদিকে খেয়াল রাখব। কোনো ভূমি আমরা খালি রাখতে চাই না। ফসল উৎপাদনের বিষয়ে আমরা প্রয়োজনে উঠান বৈঠক করব। কৃষি মন্ত্রণালয় এমন একটি মন্ত্রণালয় যেখানে গ্রাম পর্যায়ে আমাদের লোকজন রয়েছে। এসব কর্মকর্তারা গ্রাম পর্যায়ে ঘুরে সার কীটনাশক এবং অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলো দেখভাল করেন।
কৃষিকে যান্ত্রিকীকরণের বিষয়ে কোনো উদ্যোগ আছে কি না, এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, আমি নিজেও আমার নির্বাচনী এলাকায় অনেক যান্ত্রিক চাষাবাদ দেখেছি। যেমন হারভেস্টার মেশিন, ওষুধ দেওয়ার মেশিন, নিঙড়ানোর জন্য মেশিন ব্যবহার হচ্ছে। প্রধানমন্ত্রী এসব বিষয়ে সুদৃষ্টি থাকার কারণে দ্রুত এগিয়ে নিয়ে যাওয়া সম্ভব হচ্ছে।
দেশে চাহিদা অনুযায়ী উৎপাদন হচ্ছে কিন্তু দাম নিয়ন্ত্রণের বাইরে, এর পেছনের কারণ কী? এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, যে উৎপাদক তাকে যদি দাম দিতেই হয় তাহলে বেশি দামে পণ্য কিনতে হবে। তবে মধ্য-স্বত্বভোগীদের ধ্বংস করতে মন্ত্রণালয় কাজ করবে। ভোক্তাদের জন্য আমরা মার্কেট স্টাডি করতে চাই, আমরা প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেব।
তিনি বলেন, বেশি মুনাফার জন্য মানুষের বুকে চাকু মারলাম সেটা তো হয় না। এ বিষয়ে বাজার বিশেষজ্ঞদের সহযোগিতা নেওয়া হবে। কৃষির ক্ষেত্রে আবহাওয়া একটা বড় বিষয়। আবহাওয়া অনুকূলে না থাকলে উৎপাদন ব্যাহত হয়।
কত দিনের মধ্যে সিন্ডিকেট নিয়ন্ত্রণে আনা সম্ভব হবে এমন প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, এ সমস্ত বিষয়ে ডেটলাইন দেওয়ার সুযোগ নেই। তবে বাজার নিয়ন্ত্রণের জন্য যতগুলো সেক্টর আছে সবাই একত্রিত হয়ে একটি সমন্বিত ব্যবস্থা নেব। প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা নিয়েই আমরা বিষয়টি বাস্তবায়ন করতে চাই।