বিডিআর বিদ্রোহ: শেষ মামলার রায়ে ৬৪ জনের সর্বোচ্চ ৭ বছর করে কারাদণ্ড

বিডিআর বিদ্রোহ: শেষ মামলার রায়ে ৬৪ জনের সর্বোচ্চ ৭ বছর করে কারাদণ্ড

পিলখানায় বিডিআর (বতর্মান বিজিবি) সদর দপ্তরে বিদ্রোহে অংশ নেওয়া জওয়ানদের বিরুদ্ধে দায়ের করা মামলার রায় ঘোষণা শেষ হয়েছে। রায়ে ৬৪ জনকে সর্বোচ্চ সাজা ৭ বছরের কারাদণ্ড ও ১শ’ টাকা করে জরিমানা করা হয়েছে। ১০ জনকে এই মামলা থেকে বেকসুর খালাস দেওয়া হয়েছে। এছাড়া বাকিদের বিভিন্ন মেয়াদে সাজা দেওয়া হয়েছে।

বিজিবি দপ্তরের দরবার হলে স্থাপিত বিশেষ আদালত-৯ এ রায় ঘোষণা করেন বিজিবির সদর ব্যাটালিয়নের কমান্ডার কর্নেল এহিয়া আজম খান।

প্রসঙ্গত: শনিবার সকাল সাড়ে ৯ টার পর থেকে রায় ঘোষণা শুর হয়। রায় ঘোষণা উপলক্ষে এই মামলার ৭৩৩ আসামির সবাইকে আদালতে হাজির করা হয়। এই মামলার রায়ের মধ্য দিয়ে শেষ হয় বিডিআর বিদ্রোহ মামলার বিডিআর আইনে দায়ের করা সব মামলার বিচার কার্যক্রম।

এ মামলার মোট আসামি ৭৩৫ জন। বিচার চলাকালীন দু’জন জওয়ান মারা যাওয়ায় এখন আসামির সংখ্যা ৭৩৩ জন।

বিজিবি সূত্র জানায়, সদর রাইফেল ব্যাটালিয়নের ৭৩৩ জনের বিরুদ্ধে ২০১০ সালের ১১ই জুলাই অভিযোগ দায়ের করা হয়। এ মামলায় প্রথম ৭৩৫ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করা হয়েছিল। মামলার কার্যক্রম চলা অবস্থায় কারাগারে বন্দি  দু’জন মারা যান।

২০০৯ সালের ২৫ এবং ২৬শে ফেব্রুয়ারি পিলখানাসহ দেশের বিভিন্নস্থানে বিডিআর বিদ্রোহের পর বিডিআর আইনে মোট ৫৭টি মামলা হয়। ৫৭টি মামলার মোট আসামি ৬ হাজার ৪১ জন। এর মধ্যে ৫৬টি মামলার রায়ে ৫ হাজার ২০৩ জনের বিভিন্ন মেয়াদে সাজা হয়েছে। রায়ে খালাস পেয়েছেন ১০৫ জন।

বিডিআর বিদ্রোহ মামলার মধ্যে ২০০৯ সালে ২৪শে অক্টোবর প্রথম বিচার শুরু হয় রাঙ্গামাটির ১২ রাইফেল ব্যাটালিয়ন রাজনগরের ৯ জনের বিরুদ্ধে। এ ছাড়া বিডিআর বিদ্রোহের মামলার প্রথম রায় হয় পঞ্চগড়ের ২৫ রাইফেলস ব্যাটালিয়নের বিদ্রোহের ঘটনায়।

পিলখানায় হত্যা-লুণ্ঠনের মামলা চলছে ঢাকার জজ আদালতে।

২০০৯ সালের ২৫ ও ২৬শে ফেব্রুয়ারি পিলখানায় বিডিআর বিদ্রোহের ঘটনায় ৫৭ সেনাকর্মকর্তাসহ ৭৪ জন নিহত হন।

বাংলাদেশ