নাফিস সম্পর্কে তথ্য থাকলে ডেকে জানাবো: দীপু মনি

নাফিস সম্পর্কে তথ্য থাকলে ডেকে জানাবো: দীপু মনি

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ফেডারেল রিজার্ভ ব্যাংক বোমা মেরে উড়িয়ে দেওয়ার কথিত ষড়যন্ত্রের অভিযোগে বাংলাদেশি তরুণ কাজী মোহাম্মদ রেজোয়ানুল আহসান নাফিসকে নিয়ে এখনই কোনো কথা বলতে নারাজ পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডা. দীপু মনি।

শনিবার সন্ধ্যায় রূপসী বাংলা হোটেলে ইন্ডিয়া-বাংলাদেশ চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিজ আয়োজিত এক সেমিনার শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি কিছু বলতে রাজি হননি।

সেমিনার শেষে সাংবাদিকরা নাফিসের বিষয়ে জানতে চাইলে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, “নাফিসের বিষয়ে কিছু বলার থাকলে তা আমরা সংবাদ সম্মেলন করে অথবা প্রেস রিলিজের মাধ্যমে বা আপনাদের ডেকে জানাবো।”

যদিও তিনি শুক্রবার বিকেলে এক সংবাদ সম্মেলনে বলেছেন, “নাফিস সম্পর্কে খোঁজখবর নেওয়া হচ্ছে। কোনো তথ্য থাকলে সাংবাদিকদের তা জানানো হবে।”

তার সংবাদ সম্মেলনের পর গভীর রাতে স্টেট ডিপার্টমেন্টের সঙ্গে বাংলাদেশ দূতাবাসের কর্মকর্তারা এক বৈঠক করেন। বৈঠক শেষে যুক্তরাষ্ট্রে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত আকরামুল কাদের বলেন, “নাফিস একজন বাংলাদেশি। তাকে আইনি সহায়তা দেবে বাংলাদেশ।” তিনি নাফিসের সাথে সরাসরি কথা বলার চেষ্টা করছেন বলেও জানান। কিন্ত এখনো এ বিষয়ে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় কোনো বিবৃতি দেয়নি।

‘বাংলাদেশ, ভারত, ভুটান, নেপাল ও মিয়ানমারের সম্পৃক্ততায় উপ- আঞ্চলিক সহযোগিতার সম্ভাব্য ভবিষ্যৎ’ শীর্ষক ওই সেমিনারে তিনি প্রধান অতিথি ছিলেন।

দীপু মনি বলেন, “বাংলাদেশ, ভারত, ভুটান, নেপাল ও মিয়ানমার উন্নয়নের জন্য ক্রমাগত সংগ্রাম করছে। আমাদের সংস্কৃতি ও অর্থনৈতিক পরিবেশের মধ্যে নৈকট্য রয়েছে। আমাদের এই এলাকার আন্তর্জাতিক ও বাণিজ্যিক চ্যালেঞ্জগুলো প্রায় একই রকম। তাই আমরা যৌথভাবে কাজ করলে পরস্পর লাভবান হবো।”

ইন্ডিয়া-বাংলাদেশ চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিজ আয়োজিত সেমিনারে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ভারতীয় হাইকমিশনার পংকজ শরণ।

সেমিনারে মূল প্রবন্ধ পাঠ করেন জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগের অধ্যাপক আব্দুল বায়েস ।

মূল প্রবন্ধে তিনি বলেন, “এই অঞ্চলের আর্থসামাজিক উন্নয়নকে ত্বরান্বিত করতে বাংলাদেশ, ভারত, ভুটান, নেপাল ও মিয়ানমার যৌথভাবে  উপ-আঞ্চলিক সহযোগিতা গড়ে তুললে সবাই লাভবান হবে।  দ্বিপক্ষীয়ের চেয়ে বহুপক্ষীয় ফোরামের মাধ্যমে স্বার্থ রক্ষা ও ন্যায্য দাবি আদায় করা সম্ভব। পারস্পরিক স্বার্থে জুতসই উন্নয়ন, পরিবেশ, ভৌত যোগাযোগ, পানিসম্পদ ব্যবস্থাপনা ও বিদ্যুৎ খাতে উপ-আঞ্চলিক সহযোগিতা সুবিধা কাজে লাগাতে যায়।”

তিনি বলেন, “এই দেশগুলোর উন্নয়নে যৌথ উদ্যোগে উন্নয়ন ও অর্থায়ন প্রকল্প বাস্তবায়ন করা দরকার। ভবিষ্যতে আরো বড় পরিসরে আঞ্চলিক ও উপ-আঞ্চলিক পর্যায়ে এ সহযোগিতার সুযোগ রয়েছে। তবে অবকাঠামোগত উন্নয়ন সবচেয়ে জরুরি। সেইসাথে সব এসব দেশের সরকারগুলোকে বন্ধৃত্বপূর্ণ মানসিকতা পোষণ করতে হবে।”

সেমিনারে উপস্থিত ছিলেন দ্য ফিনান্সিয়াল এক্সপ্রেস পত্রিকার সম্পাদক মোয়াজ্জেম হোসেন, ব্র্যাক ইউনিভার্সিটির স্কুল অব বিজনেসের অধ্যাপক মামুন রশিদ, মিয়ানমার বাংলাদেশ চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিজর সভাপতি কে বি আহমেদ ও ব্যবসায়ীরা।

বাংলাদেশ