আরো দুই মামলায় শ্যোন অ্যারেস্ট আলাল

আরো দুই মামলায় শ্যোন অ্যারেস্ট আলাল

দুই মামলায় জামিন পেলেও আরো দু’টি মামলায় গ্রেফতার (শ্যোন অ্যারেস্ট) দেখানোর কারণে মুক্তি পাচ্ছেন না যুবদলের সভাপতি সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল। তাকে পল্টন থানায় একটি হামলার মামলার (নং: ২১/১২-১১) এবং খিলগাঁও থানায় একটি গাড়ি পোড়ানোর মামলার (নং: ৩১/০৪-১২) আসামি করে গ্রেফতার (শ্যোন অ্যারেস্ট) দেখানো হয়েছে।

এর আগে বৃহস্পতিবার রাজধানীর নয়াপল্টনে গত ২ অক্টোবরের পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষ ও গাড়ি পোড়ানো সংক্রান্ত দু’টি মামলায় জামিন পান আলাল। কিন্তু নতুন দু’টি মামলায় গ্রেফতার দেখানোর কারণে আলাল মুক্তি পাচ্ছেন না।

উল্লেখ্য, গত ৬ অক্টোবর দুই দিনের রিমান্ড শেষে তাকে কারাগারে পাঠিয়েছিলেন ম্যাজিস্ট্রেট আদালত। ওই আদেশে বিক্ষুব্ধ হয়ে আলাল মহানগর দায়রা জজ আদালতে দু’টি ফৌজদারি মোকদ্দমা দায়ের করেছিলেন। বৃহস্পতিবার দু’টি মামলারই শুনানি শেষে মহানগর দায়রা জজ মো. জহুরুল হক তাকে জামিন প্রদান করেন।

৬ অক্টোবর আলালসহ বিএনপি ও এর সহযোগী সংগঠনের ২২ নেতাকর্মীকে কারাগারে পাঠান আদালত। এ মামলায় হাইকোর্ট থেকে ২২ জন, আইনজীবী বিবেচনায় ৩ জন ও অনার্স পরীক্ষার্থী হওয়ায় মোখলেছ নামে এক আসামিসহ ২৬ জন জামিনে আছেন।

আলালের দু’টি মামলায় অভিযোগ করা হয়, নেত্রকোনা জেলায় ১৮ দলীয় জোটের সমাবেশকে কেন্দ্র করে গোলযোগ সৃষ্টির জন্য আসামিরা গত ২ অক্টোবর কোনো পূর্ব অনুমোদন ছাড়াই বিএনপি কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে তাৎক্ষণিক এক বিক্ষোভ সমাবেশের আয়োজন করেন।

এ সময় তারা একটি জিপ গাড়িতে আগুন ধরিয়ে দেন, যানবাহন সৃষ্টি বাধা দেন, পুলিশের কর্তব্যকাজে বাধা দেন এবং ত্রাসের সৃষ্টি করেন।

সমাবেশের অপর অংশে জাতীয়তাবাদী যুবদলের সভাপতি সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি হাবিবুন নবী খান সোহেল, সেক্রেটারি মীর সরাফত আলী সপু, ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি আজিজুল বারী হেলালের নেতৃত্বে ২০০/৩০০ জন বিএনপি ও তার অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মীরা হঠাৎ করে মারাত্মক অস্ত্রশস্ত্রে সজ্জিত হয়ে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের আশেপাশের এলাকায় যানবাহন চলাচলে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করেন।

রাজনীতি