বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগ (বিপিএল)’র খেলোয়াড়দের দরপতন হয়েছে! প্রথম আসরের কোটিপতি ক্রিকেটার এবার এক চতুর্থাংশ মূল্যও পাবেন না।
বিপিএলের দ্বিতীয় আসরে গোল্ডেন শ্রেণীতে সবেচেয়ে বেশি পারিশ্রমিক দেওয়া হবে দেড় লাখ ইউএস ডলার। এই শ্রেণীর নূন্যতম মূল্য নির্ধারণ করা হয়েছে ৭৫ হাজার ডলার। গোল্ডেন শ্রেণীতে বিশ্বমানের ক্রিকেটাররা থাকবেন। ক্রিস গেইল, শহীদ আফ্রিদি, মার্লন স্যামুয়েলস এমন কি বাংলাদেশের সাকিব আল হাসান থাকতে পারেন গোল্ডেন বিভাগে।
প্রথম আসরে আফ্রিদি সবচেয়ে বেশি পারিশ্রমিক পেয়েছেন। এক লাখ ডলার নূন্যতম মূল্য ধরে ফাইনাল বিডিং প্রাইস ছিলো পাঁচ লাখ ডলার। কিন্তু তাকে নিয়ে কাড়াকাড়ি পড়ে যাওয়ায় সাত লাখ ডলার দিয়ে ঢাকা গ্ল্যাডিয়েটরস দলে নিয়েছিলো। সেখানে দ্বিতীয় আসরে সবচেয়ে দামি ক্রিকেটারের নিলাম মূল্য দেড় লাখ ডলারের বেশি হবে না।
বিদেশি ক্রিকেটারদের ‘এ’ শ্রেণীতে নূন্যতম মূল্য ধরা হয়েছে ৫০ হাজার ডলার। সর্বোচ্চ নিলাম মূল্য ৭৫ হাজার ডলার। প্রথম আসরে এটা এক লাখ থেকে শুরু হয়ে পাঁচ লাখ ডলার পর্যন্ত নিলাম মূল্য রাখা হয়েছিলো। ‘বি’ শ্রেণীতে নূন্যতম মূল্য ৩০ হাজার নিলাম মূল্য ৫০ হাজার ডলার। আগের আসরে নূন্যতম মূল্য ছিলো ৫০ হাজার ডলার। ‘সি’ শ্রেণীতে ১৫ হাজার দিয়ে শুরু, শেষ ৩০ হাজার ডলারে। প্রথম আসরে এই শ্রেণীর বিদেশি ক্রিকেটারের নূন্যতম মূল্য নির্ধারণ করা হয়েছিলো ২৫ হাজার।
বাংলাদেশের ‘এ’ শ্রেণীর ক্রিকেটারদের নূন্যতম মূল্য ৩০ হাজার থেকে শুরু, শেষ ৫০ হাজার ডলারে। ‘বি’ শ্রেণীতে ২০ হাজার থেকে শুরু, ৩০ হাজারে শেষ। ‘সি’ শ্রেণীতে ১০ হাজার দিয়ে শুরু, ২০ হাজারে ডলারে শেষ।
প্রথম আসরে ‘এ’ শ্রেণীর বাংলাদেশি ক্রিকেটারদের নূন্যতম ৫০ হাজার, ‘বি’ শ্রেণীতে নূন্যতম ৩০ হাজার এবং ‘সি’ শ্রেণীতে নূন্যতম ২০ হাজার ডলারে নিলাম করেছে।
খুলনা রয়েল বেঙ্গলস সবচেয়ে বেশি দুই লাখ ডলারে দলে নিয়েছিলো নাসির হোসেনকে। এবার তাদের ৫০ হাজার ডলারের বেশি দেওয়া হবে না।
মজার বিষয় হলো এবার কোন আইকন ক্রিকেটার রাখা হয়নি। গতবারের তিক্ত অভিজ্ঞতা থেকে এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে বিপিএল গভর্নিং কাউন্সিল। আইকন ক্রিকেটারের জন্য দুই লাখ ১০ হাজার ডলার মূল্য বেঁধে দিয়েছিলো বিপিএল গভর্নিং কাউন্সিল। একমাত্র সাকিব আল হাসান ছাড়া আইকন ক্রিকেটারদের কেউ পুরো সম্মানি পাননি।
বুধবার রাতে বিপিএল গভর্নিং কাউন্সিলের সভায় ক্রিকেটারদের মূল্য নির্ধারণ ছাড়াও দ্বিতীয় আসরের সময় নির্ধারণ করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বিসিবি জানায়, ২০১৩ সালের ১৭ জানুয়ারি থেকে বিপিএলের দ্বিতীয় আসর শুরু হবে। ফ্র্যাঞ্চাইজি নিলামের সময় নির্ধারণ করা হয়েছে এ বছর ৯ নভেম্বর। খেলোয়াড় নিলাম হবে ৭ ডিসেম্বর। ফ্র্যাঞ্চাইজি নিলাম সম্পর্কে বিপিএল গভর্নিং কাউন্সিলের চেয়ারম্যান লিপু জানিয়েছেন, কোন ফ্র্যাঞ্চাইজি ঋণখেলাপী হলে অথবা বিসিবি ফ্র্যাঞ্চাইজি বাড়াতে চাইলে নিলাম হতে পারে। সেজন্য ফ্র্যাঞ্চাইজি নিলামের সময় রাখা হয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, ঢাকার মিরপুর শেরেবাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়াম, চট্টগ্রাম এমএ আজিজ স্টেডিয়াম, খুলনা শেখ আবু নাসের স্টেডিয়ামে টুর্নামেন্টের খেলা হবে। এছাড়া সিলেট বিভাগীয় স্টেডিয়াম এবং রাজশাহী শহীদ কামরুজ্জামান স্টেডিয়ামে ওয়ার্ম আপ ম্যাচ হবে।
ক্রিকেটারদের পারিশ্রমিক কমিয়ে দেওয়ার বিষয়ে বিপিএল গভর্নিং কাউন্সিল চেয়ারম্যান গাজী আশরাফ হোসেন লিপু মোবাইলফোনে বলেন, ‘ফ্র্যাঞ্চাইজিদের পক্ষে যাতে ব্যয় নির্বাহ সম্ভব হয় সেদিকটি বিবেচনায় রেখে এবার মূল্য নির্ধারণ করা হয়েছে।’