বেলারুশে রপ্তানিতে শুল্কমুক্ত দাবি এফবিসিসিআই’র

বেলারুশে রপ্তানিতে শুল্কমুক্ত দাবি এফবিসিসিআই’র

বাণিজ্য বৃদ্ধিকল্পে বেলারুশে বাংলাদেশি পণ্যের শুল্কমুক্ত প্রবেশাধিকাদের দাবি জানিয়েছেন ব্যবসায়ীদের শীর্ষ সংগঠন ফেডারেশন অব বাংলাদেশ চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি (এফবিসিসিআই)।

মঙ্গলবার রিপাবলিক অব বেলারশের ২৩ সদস্য বিশিষ্ট একটি ব্যবসায়ী প্রতিনিধি দলের সাথে আলোচনায় ব্যবসায়ী নেতৃবৃন্দ এ দাবি জানান।

এফবিসিসিআইয়ের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি জসিম উদ্দিনের সভাপতিত্বে বৈঠকে রিপাবলিক অব বেলারুশের রাষ্ট্রদূত ভিটলে প্রিমাসহ আরো উপস্থিত ছিলেন এফবিসিসিই’র পরিচালক মমতাজ উদ্দিন, এস.এম নুরুল হক, মনোয়ারা হাকিম আলী, সাবেক পরিচালক সাফকোয়াত হায়দার প্রমুখ।

সভায় জসিম উদ্দিন বলেন,  দেশের বর্তমান উন্নয়ন গতিধারাকে অব্যাহত রাখার জন্য প্রায় ২৮ বিলিয়ন মার্কিন ডলার পরিমাণ বিনিয়োগ প্রয়োজন। আর এ লক্ষ্যে বাংলাদেশ সরকার পাবলিক-প্রাইভেট পার্টনারশিপ (পিপিপি), বিদ্যমান ইপিজেড ও ট্যাক্স হলিডেসহ বিভিন্ন উদ্যোগ গ্রহণ করেছেন।

তিনি অরো বলেন যে, বাংলাদেশ বিশ্বের উন্নয়নশীল দেশ সমূহে রপ্তানি ক্ষেত্রে শুল্কমুক্ত সুবিধা পেয়ে আসছে এবং সার্কভুক্ত দেশসমূহে রপ্তানি বৃদ্ধির এক বিশাল সম্ভাবনা রয়েছে। আর ক্ষেত্রে বেলারুশ যৌথ বা একক মালিকানায়  বাংলাদেশে বিনিয়োগ  করে এ সুবিধা নিতে পারে।

ভিটলে প্রিমা বলেন, আমাদের এ সফরের উদ্দেশ্যই হলো বাংলাদেশে বিভিন্ন সম্ভাবনাময় খাতসমূহ সর্ম্পকে অবহিত হওয়া এবং দুদেশের মধ্যে সম্পর্কে উন্নয়ন করা।

এফবিসিসিআইয়ের সহ-সভাপতি মোস্তফা আজাদ চৌধুরী বাবু বলেন, উভয় দেশের মধ্যে ব্যবসা-বাণিজ্য বৃদ্ধির অনেক সম্ভাবনা রয়েছে। আর এ জন্য উভয় দেশের ব্যবসায়ী প্রতিনিধিবৃন্দের মধ্যে যোগাযোগ বৃদ্ধি প্রয়োজন। তিনি বাংলাদেশে বেলারুশের একটি মিশন চালু প্রস্তাব করেন।

বাংলাদেশ ও বেলারুশের মধ্যে বর্তমানে প্রায় ৮৯ মিলিয়ন মার্কিন ডলারের মত বাণিজ্য হয়- যা বেলারুশের পক্ষে। ২০১১-১২ সালে বাংলাদেশ ৮৭ মিলিয়ন ডলারের পরিমাণ পণ্য ও সেবা আমদানি করে অপরদিকে মাত্র ২.৪২ মিলিয়ন ডলার পরিমান পণ্য বেলারুশে রপ্তানি করে।

অর্থ বাণিজ্য