বিরোধী দলীয় নেতা ও বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলা বাতিল করে হাইকোর্টের দেওয়ার রায়ে বিরুদ্ধে আপিল অনুমতি আবেদনের (লিভ টু আপিল) শুনানি আগামী ১০ জানুয়ারি ধার্য করেছেন আপিল বিভাগ।
খালেদা জিয়ার আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে সোমবার আপিল বিভাগের চেম্বার বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেন এ দিন ধার্য করেন।
প্রসঙ্গত, ২০০৮ সালের ৩ জুলাই জিয়া অরফানেজ ট্রাস্টের ২ কোটি ১০ লাখ ৭১ হাজার ৬৪৩ টাকা আত্মসাতের অভিযোগে দুদকের উপ-পরিচালক হারুন অর রশিদ রমনা মডেল থানায় মামলাটি দায়ের করেন। মামলায় খালেদা জিয়া এবং তার দুই ছেলে তারেক রহমান ও আরাফাত রহমান কোকোসহ সাত জনকে আসামি করা হয়। ২০০৯ সালের ৫ আগস্ট এ মামলার চার্জশিট দেওয়া হয়। ওই বছরের ৭ সেপ্টেম্বর ঢাকা মাহানগর বিশেষ দায়রা জজ আদালত মামলার অভিযোগ আমলে নেন।
২০০৯ সালের ১৫ অক্টোবর খালেদা জিয়া মামলা বাতিলের জন্য আবেদন জানালে হাইকোর্ট রুল জারি করেন। গত বছরের ৩০ নভেম্বর জিয়া অরফানেজ ট্রাস্টের মামলা বাতিলের রুলের ওপর শুনানিতে সংশ্লিষ্ট বেঞ্চের ওপর অনাস্থা জানান বিএনপি চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়া। তবে আদালত এ অনাস্থার আবেদন খারিজ করে দেন।
হাইকোর্টের এ আদেশের বিরুদ্ধে খালেদা জিয়ার আইনজীবীরা চেম্বার জজে আপিল করলে চেম্বার জজ বিষয়টি শুনানির জন্য পূর্ণাঙ্গ বেঞ্চে পাঠিয়ে দেন। আপিল বিভাগের পূর্ণাঙ্গ বেঞ্চে শুনানি শেষে বিচারপতি মোহাম্মদ আনোয়ার উল হক ও বিচারপতি মুজিবর রহমান মিয়ার বেঞ্চ পরিবর্তন করে বিচারপতি খোন্দকার মূসা খালেদ এর বেঞ্চে গত বছরের ১৫ ডিসেম্বরের মধ্যে বিষয়টি নিষ্পত্তির নির্দেশ দেন।
পরে ১৪ ডিসেম্বর খালেদা জিয়ার করা মামলা বাতিলের আবেদন খারিজ করে দেন হাইকোর্ট।
এ আদেশের বিরুদ্ধে চলতি বছরের ৭ মার্চ লিভ টু আপিলের আবেদন করলে চেম্বার বিচারপতি ১২ জুন শুনানির দিন ধার্য করেন। কিন্তু মামলাটি আপিল বিভাগের কার্যতালিকায় না আসায় রোববার আবার আবেদন করেন খালেদা জিয়া। এ আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে সোমবার আপিল বিভাগের পূর্ণাঙ্গ বেঞ্চে শুনানির জন্য ২০১৩ সালের ১০ জানুয়ারির দিন ধার্য করেন চেম্বার বিচারপতি।
আদালতে খালেদা জিয়ার পক্ষে ছিলেন ব্যারিস্টার বদরুদ্দোজা বাদল ও মাহবুব উদ্দিন খোকন। দুর্নীতি দমন কমিশনের পক্ষে ছিলেন অ্যাডভোকেট খুরশীদ আলম খান।