বাম-গণতান্ত্রিক বলয় গড়ার প্রত্যয়ে সিপিবির কংগ্রেস

বাম-গণতান্ত্রিক বলয় গড়ার প্রত্যয়ে সিপিবির কংগ্রেস

দেশের প্রধান দুই রাজনৈতিক জোটের বাইরে বাম-গণতান্ত্রিক রাজনৈতিক বলয় গড়ার প্রত্যয় নিয়ে আগামী ১১, ১২ ও ১৩ অক্টোবর অনুষ্ঠিত হয়ে যাচ্ছে বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টির (সিপিবি) দশম কংগ্রেস।

রোববার রাজধানীর পুরানা পল্টনের মুক্তি ভবনে সিপিবি আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানানো হয়।

সংবাদ সম্মেলনে দশম কংগ্রেস প্রস্তুতি কমিটির চেয়ারম্যান হায়দার আকবর খান রনো’র সভাপতিত্বে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন- প্রস্তুতি কমিটির আহ্বায়ক সাজ্জাদ জহির চন্দন।

লিখিত বক্তব্যে জানানো হয়, ১১ অক্টোবর সকাল সাড়ে ১০টায় মহানগর নাট্যমঞ্চে এ কংগ্রেসের উদ্বোধন করা হবে। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে দেশি বিদেশি কমিউনিস্ট নেতারা বক্তব্য রাখবেন।

বেলা দেড়টায় বর্ণাঢ্য র‌্যালি বের করা হবে। সন্ধ্যায় মহানগর নাট্যমঞ্চের বাইরে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান আয়োজন করা হবে। উদ্বোধনী অনুষ্ঠান ও সাংস্কৃতিক সন্ধ্যা সবার জন্য উন্মুক্ত থাকবে।

বক্তব্যে বলা হয়, ১১ অক্টোবর দুপুরের খাবার বিরতির পর ১৩ অক্টোবর পর্যন্ত রুদ্ধদ্বার কাউন্সিল অধিবেশন অনুষ্ঠিত হবে। অধিবেশনে সাংগঠনিক কৌশল নির্ধারণের পাশাপাশি আগামী দিনের রাজনৈতিক নীতির বিষয়ে স্বিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।

অধিবেশনে দেশি প্রতিনিধি ও গণ্যমান্য ব্যক্তিদের পাশাপাশি ৯টি দেশের ১৬টি ভ্রাতৃপ্রতিম পার্টির ২২ জন প্রতিনিধি অংশগ্রহণ করবেন। যাদের মধ্যে ভারতের সিপিআই এর সাধারণ সম্পাদক সুধাকর রেড্ডি, ভারতের সিপিআইএম এর পলিটব্যুরো সূর্যকান্ত মিশ্র, সর্বভারতীয় ফরওয়ার্ড পার্টি সম্পাদক শ্যামল রায়,  শ্রীলঙ্কান কমিউনিস্ট পার্টির চেয়ারম্যান রাজা কলুয়ের, রাশিয়ান কমিউনিস্ট পার্টির পোতায়ে আলেকজান্দর,  ভারতের গণশক্তি পত্রিকার সম্পাদক নারায়ণ দত্ত, দেশের কথা পত্রিকার সম্পাদক গৌতম দাস প্রমুখ।

কংগ্রেস অনুষ্ঠানে জামায়াত ও জাতীয় পার্টি ছাড়া দেশের সব রাজনৈতিক দল ও গণ্যমান্য ব্যক্তিদের আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে।
এছাড়া কংগ্রেস সফল করতে ৩০০ জন স্বেচ্ছাসেবক নিয়মিতভাবে বিভিন্ন দায়িত্ব পালন করবেন।
উল্লেখ্য, এর আগে সিপিবি’র ৬৯টি সাংগঠনিক জেলার সব ক’টিতে কাউন্সিল সম্পন্ন হয়েছে। জেলা কমিটিগুলোতে ৬১৪ জন প্রতিনিধি নির্বাচিত হয়েছেন। যাদের মধ্যে ১৮০ জন নারী ও ১৬ জন আদিবাসী রয়েছেন।

লিখিত বক্তব্যে সাজ্জাদ জহির চন্দন বলেন, “বুর্জোয়া গোষ্ঠী সমাজতন্ত্র স্থিমিত হয়ে গেছে বলে প্রচার করলেও আগামীতে সমাজতন্ত্রই অনিবার্য পথ। আগামীতে সব বামপন্থি রাজনৈতিক ও প্রগতিশীল গণতান্ত্রিক শক্তিকে নিয়ে একটা বাম-গণতান্ত্রিক বিকল্প রাজনৈতিক বলয় গড়ে তুলতে হবে। সাম্পদায়িক শক্তি, সাম্রাজ্যবাদী, দুর্নীতি অপশাসনের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়াতে হবে।”

তিনি বলেন, “মার্কসবাদ-লেলিনবাদের প্রতি অবিচল আস্থা ও বিশ্বাস রেখে কমিউনিস্ট পার্টি আত্মত্যাগের মহান আর্দশ প্রতিষ্ঠিত করেছে। তারই ধারাবাহিকতায় আজকের এই কংগ্রেস।”

এতে আরো উপস্থিত ছিলেন- সৈয়দ আবু জাফর আহমেদ, শাহাদাত হোসেন, রুহিন হোসেন প্রিন্স, আসলাম খান প্রমুখ।

রাজনীতি