আওয়ামী লীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক মাহাবুব-উল-আলম হানিফ জানিয়েছেন, আগামী নির্বাচন নির্ধারিত সময়েই হবে। নির্ধারিত সময়ের আগে বা পরে নির্বাচন করার কোন চিন্তা আওয়ামী লীগের নেই।
তিনি এও বলেছেন, “আগাম নির্বাচনের কথা কখনো আওয়ামী লীগ বলেনি। এটা বিরোধী দলের আশঙ্কা। আর আশঙ্কা করাই হচ্ছে বিরোধী দলের কাজ।”
সোমবার রাজধানীর ধানমন্ডিতে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ সভাপতির কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।
খালেদা জিয়াকে উদ্দেশ্য করে হানিফ বলেন, “হুমকি দিয়ে জনপ্রশাসনের কর্মকর্তাদের প্রজাতন্ত্রের দায়িত্ব থেকে বিরত রাখা যাবে না। তারা কোন অবস্থাতেই বিএনপি-জামায়াত জোটের অন্ধকার যুগে দেশকে ফিরে যেতে দেবে না। বেগম জিয়ার ’দেখে নেওয়ার’ আস্ফালন কোন দিনই আলোর মুখ দেখবে না।”
তিনি বলেন, “বিরোধী দলকে পথে আনতে শেখ হাসিনা এক ধাপ এগিয়ে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রস্তাব দিয়েছিলেন। এ বিষয়ে বিএনপির কোন রুপরেখা থাকলে তারা সংসদে গিয়ে আলোচনা করতে পারে।”
রোববার দিনাজপুরে দেওয়া খালেদা জিয়ার বক্তব্যের তীব্র নিন্দা জানিয়ে তিনি বলেন, “বেগম জিয়ার বক্তব্য ছিলো গোঁজামিলে ভরা। তার আচরণ ও বক্তব্য ছিলো কুৎসিত, হিংসাশ্রয়ী, বেপরোয়া, উস্কানিমুলক ও রাজনৈতিক উদ্দেশ্য প্রণোদিত। তারা এর মাধ্যমে রাজনৈতিক পরিবেশ অস্থিতিশীল করে দেশে হত্যা, সন্ত্রাস, দুর্নীতি ও লুটপাটের রাজনীতি কায়েম করতে চায়। গণতান্ত্রিক অগ্রযাত্রা এবং উন্নয়নের ধারা বাধাগ্রস্ত করতে চায়।”
হানিফ বলেন, “হুমকির রাজনীতি অনেক আগেই শেষ হয়ে গেছে। রাজনীতির নামে বিরোধী দলের এ ধরনের অরাজনৈতিক অবিবেচনা প্রসূত কার্যকলাপ বিএনপির নেতৃত্বে চরম হতাশা ও দেউলিয়াত্বের সাক্ষ্য বহন করে।”
খালেদা জিয়ার ‘মহাজোট মহাচোর’ বক্তব্যের প্রতিবাদ জানিয়ে তিনি বলেন, “তার আমলে সীমাহীন লুটপাট হয়েছে, দেশ পাঁচবার দুর্নীতিতে চ্যাম্পিয়ান হয়েছে, তিনি নিজেই এতিমদের টাকা আত্মসাত করেছেন, তার দুই ছেলের বিরুদ্ধে দুর্নীতির মামলা চলমান।”
হানিফ বলেন, “তারা নিজেদের নির্দোষ প্রমাণ করতে পারবেন না বলেই খালেদা জিয়া আদালত থেকে পালিয়ে বেড়াচ্ছেন। তার দুই ছেলে বিদেশে পালিয়ে বেড়াচ্ছেন। তাদের মুখে অন্যের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ মানায় না।”
সংবাদ সম্মেলনে আরো উপস্তিত ছিলেন, আওয়ামী লীগের যুগ্মসাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর কবির নানক, সাংগঠনিক সম্পাদক খালিদ মাহমুদ চৌধুরী, তথ্য ও গবেষণা সম্পাদক আফজাল হোসেন, উপ-দপ্তর সম্পাদক মৃণাল কান্তি দাস, আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য সুজিত রায় নন্দী, এনামুল হক শামীম, আমিনুল ইমলাম প্রমুখ।