মোবাইল কোম্পানিগুলোর সার্বিক কার্যক্রম যাচাই করবে বিটিআরসি

মোবাইল কোম্পানিগুলোর সার্বিক কার্যক্রম যাচাই করবে বিটিআরসি

টেলিকম অ্যাক্ট অনুযায়ী মোবাইল কোম্পানিগুলোর সার্বিক কার্যক্রম ও আয়-ব্যয়ের হিসাব যাচাই করবে সরকার। সংসদীয় কমিটিকে এমনটাই জানিয়েছে বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কর্র্তপক্ষ (বিটিআরসি)।

রোববার জাতীয় সংসদ ভবনে অনুষ্ঠিত ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির ৪১তম বৈঠকে এ কথা জানানো হয়েছে। কমিটির সদস্য আব্দুল কুদ্দুস বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন।

এছাড়া বিটিআরসি অভিযোগ করেছে, মোবাইল কেম্পানিগুলোকে অবৈধ ভিওআইপি (ভয়েস ওভার ইন্টারনেট প্রটোকল) ব্যবসা করে সরকারকে রাজস্ব ফাঁকি দিচ্ছে।

কমিটির কার্যপত্র থেকে জানা গেছে, গত ৩৩তম বৈঠকে সংসদীয় কমিটি মোবাইল কোম্পানির সার্বিক কার্যক্রম ও আয়-ব্যয়ের হিসাব যাচাইয়ের সুপারিশ করে। এ সুপারিশের বাস্তবায়ন অগ্রগতি সম্পর্কে বিটিআরসি বলেছে, ‘প্রতি বছর একটি সুনির্দিষ্ট পদ্ধতি অনুসরণ করে যাতে কোনো বিভ্রান্তি সৃস্টি না হয় এবং আর্থিক শৃঙ্খলা ঠিক থাকে সেজন্য মোবাইল কোম্পানিগুলোর সার্বিক কার্যক্রম ও আয়-ব্যয়ের হিসাব পর্যালোচনা চলছে। এরই মধ্যে গ্রামীণফোনের নিরীক্ষা শেষ হয়েছে। অন্যদের নিরীক্ষার বিষয়টি প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।“

প্রসঙ্গত, গ্রামীণফোন ২০০১ থেকে এখন পর্যন্ত সরকারকে ৬ হাজার ২৮ কোটি ৯২ লাখ টাকা কর দিয়েছে। বাংলালিংক ২ হাজার ৭০৬ কোটি ৩৬ লাখ, রবি ২ হাজার ৭২২ কোটি ৮৯ লাখ, সিটিসেল ৬০৪ কোটি ২৭ লাখ টাকা করা দিয়েছে। একই সময়ে টেলিটক দিয়েছে ১১৫ কোটি ২২ লাখ টাকা এবং এয়ারটেল দিয়েছে ৬১৫ কোটি ৭৮ লাখ টাকা।

এদিকে সংসদীয় কমিটি গত ১ বছরে আন্তর্জাতিক কল টার্মিনেশন কমে যাওয়ায় উদ্বেগ প্রকাশ করেছে।

বিটিআরসির হিসাব অনুযায়ী গত বছরের অক্টোবরে দৈনিক আন্তর্জাতিক কল ছিলো ৫ কোটি ২০ লাখ মিনিট। অথচ গত ১৩ সেপ্টেমম্বরের এটি ২ কোটি ৫৩ লাখে নেমে এসেছে।

বৈঠক শেষে কমিটির সদস্য মোয়াজ্জেম হোসেন রতন ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রীর বরাত দিয়ে জানান, কোনো অবৈধ ভিওআইপি ব্যবসার সঙ্গে জড়িতদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।

সংসদ সচিবালয় থেকে পাঠানো সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, বৈঠকে আন্তর্জাতিক ইনকামিং কল কমে যাওয়ার কারণ নির্ণয় ও ভিওআইপি রোধে মন্ত্রণালয়ের তদন্ত কমিটিতে সৎ ব্যক্তিদের অন্তর্ভূক্ত করার সুপারিশ করা হয়। এছাড়া তদন্ত কমিটির প্রতিবেদন দ্রুত উপস্থাপনের পাশাপাশি কমিটির সুপারিশের পরিপ্রেক্ষিতে কল কমে যাওয়ার কারণ দ্রুত অনুসন্ধানের সুপারিশ করা হয়।

কমিটির নতুন সদস্য এবং ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী সাহারা খাতুন, মো. নজরুল ইসলাম বাবু ও মোয়াজ্জেম হোসেন রতন বৈঠকে অংশ নেন।

এছাড়া বিশেষ আমন্ত্রণে কমিটির সাবেক সভাপতি ও নবনিযুক্ত তথ্য মন্ত্রী হাসানুল হক ইনু বৈঠকে যোগ দেন।

অর্থ বাণিজ্য