দক্ষিণ এশিয়ার অন্যান্য দেশের তুলনায় বাংলাদেশ রাজস্ব আদায়ের দিক থেকে অনেক পিছিয়ে রয়েছে। ১৬ কোটি জনসংখ্যার এ দেশে আয়কর সনাক্তকরণ নম্বর (টিআইএন) ধারীর সংখ্যা মাত্র ৩৫ লাখ। এদের মধ্যে ২০১১-১২ অর্থ বছরে মাত্র ১১ লাখ কর দাতা আয়কর রিটার্ন দাখিল করেছেন। এ হিসেবে দেশের মোট জনসংখ্যার শতকরা ১ ভাগকেও আয়কর নেটওয়ার্কের আওতায় আনা সম্ভব হয়নি। প্রচলিত আয়কর ও ভ্যাট পরিশোধ পদ্ধতি সহজ করলে এ সংখ্যা আরো অনেক বাড়বে। এতে সরকারের রাজস্ব আয়ের পরিমাণও বাড়ানো সম্ভব হবে।
রোববার দুপুরে ঢাকা চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি (ডিসিসিআই) মিলনায়তনে ‘আয়কর রিটার্ন দাখিল এবং মূল্য সংযোজন কর (ভ্যাট) পরিশোধ পদ্ধতি’ শীর্ষক কর্মশালায় ব্যবসায়ীরা একথা বলেন। ডিসিসিআই এ কর্মশালার আয়োজন করে। এতে প্রধান অতিথি ছিলেন শিল্পমন্ত্রী দিলীপ বড়ুয়া।
কর্মশালায় স্বাগত বক্তব্য দেন ডিসিসিআই সভাপতি আসিফ ইব্রাহীম। আয়কর ও ভ্যাট পরিশোধ পদ্ধতি বিষয়ে পৃথক প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন ডিসিসিআই সিনিয়র সহসভাপতি হায়দার আহমদ খান এবং জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) সাবেক সদস্য (ভ্যাট) মোহাম্মদ শাহাবুদ্দিন। অনুষ্ঠানে এনবিআর সদস্য (ভ্যাট) ফরিদ উদ্দিন, সদস্য (আয়কর প্রশাসন ও কর মনিটরিং) এম এ কাদের সরকারসহ ব্যবসায়ী ও শিল্প উদ্যোক্তা সংগঠনের নেতারা আলোচনায় অংশ নেন।
কর্মশালায় বক্তারা বলেন, পদ্ধতিগত জটিলতার কারণে অনেক ব্যবসায়ী আয়কর ও ভ্যাট পরিশোধে অনীহা প্রকাশ করে থাকেন। ভোক্তাবান্ধব কর ও রাজস্ব প্রশাসন সৃষ্টি করলে দেশে আয়কর পরিশোধ ও টিআইএনধারীর সংখ্যা দ্রুত বাড়বে।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে শিল্পমন্ত্রী দিলীপ বড়ুয়া বলেন, “সরকার ইতোমধ্যে ডিজিটাল পদ্ধতিতে আয়কর ও ভ্যাট পরিশোধের সুযোগ সৃষ্টি করেছে। এ লক্ষ্যে দেশের বিভিন্ন এলাকায় কর মেলা, অন-দ্য-স্পট কর পরিশোধের সুযোগ সৃষ্টি এবং অনলাইনে আয়কর রিটার্ন পূরণের সুযোগ করে দেয়া হয়েছে।”