বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রী কর্নেল (অব.) ফারুক খান বলেছেন, “বাংলাদেশই হবে আগামীতে উন্নত পর্যটন কেন্দ্র। এখানকার প্রাকৃতিক বৈচিত্র আর সবুজ শ্যামল পরিবেশ বিশ্বের মানুষকে কাছে টেনে নিয়ে আসবে। পাহাড়, সমুদ্রের অপূর্ব মিলনকেন্দ্র বাংলাদেশ ক্রমেই জনপ্রিয় হয়ে উঠবে ভ্রমণপ্রেমীদের কাছে।”
শুক্রবার দুপুরে রাজধানীর বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে ২য় এশিয়ান ট্যুরিজম ফেয়ার উদ্বোধনকালে তিনি এ কথা বলেন।
ভ্রমণ বিষয়ক পত্রিকা ‘পর্যটন বিচিত্রা’র উদ্যোগে ও ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশের পৃষ্ঠপোষকতায় তিন দিনব্যাপী মেলার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে এশিয়ার বিভিন্ন দেশের রাষ্ট্রদূতরা উপস্থিত ছিলেন। এ সময় বক্তব্য দেন ইন্দোনেশিয়ার রাষ্ট্রদূত এইচ ই জেড মিরজাল জয়েনউদ্দিন, শ্রীলংকার রাষ্ট্রদূত ডাব্লিউ এস সারদ কে রাগদা, ফিলিপাইনের রাষ্ট্রদূত এইচ ই বাহ্নারিম আবু গুইলোমলা, ভিয়েতনামের রাষ্ট্রদূত নেগুয়েন কুয়াংক থুক, নেপালের ডেপুটি হেড অব মিশন কৃষ্ণ চন্দ্র আড়িয়াল, বেসামরিক বিমান ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের সচিব খোরশেদ আলম চৌধুরী, বাংলাদেশ ট্যুরিজম বোর্ডের প্রধান নির্বাহী আখতারুজ জামান খান কবির প্রমুখ।
তারা বলেন, “আমাদের উচিত সময় পেলেই বন্ধুপ্রতিম দেশগুলোতে ঘুরতে যাওয়া। এতে করে আন্তঃদেশীয় সম্পর্কের সেতুবন্ধন যেমন জোরদার হবে, তেমনি উন্নত হবে মানসিকতা।”
পরে পর্যটনমন্ত্রী ফিতা কেটে ও বেলুন উড়িয়ে মেলার উদ্বোধন করেন এবং রাষ্ট্রদূতদের নিয়ে বিভিন্ন স্টল ঘুরে দেখেন।
মেলায় বিভিন্ন দেশের মোট ১২০টি প্রতিষ্ঠান অংশগ্রহণ করছে। এগুলোর মধ্যে ইন্দোনেশিয়া, জাপান, চিন, ফিলিপাইন, শ্রীলংকা নেপাল ও ভিয়েতনামের দূতাবাস রয়েছে। এছাড়া রয়েছে বিভিন্ন এয়ারলাইন্স, হোটেল, রিসোর্ট, ট্যুর অপারেটন, ট্রাভেল শপ, ট্যুরিজম ইনস্টিটিউটের স্টল । মেলা উপলক্ষে তাদের সবার রয়েছে বিভিন্ন আকর্ষণীয় প্যাকেজ ও অফার।
মেলায় কিছু দূতাবাসকে ভিসা সুবিধা দিতেও দেখা গেছে। শ্রীলংকার দূতাবাসের প্রটোকল অফিসার মজিন বড়ুয়া বলেন, “মেলায় আমরা শ্রীলংকার ঐতিহ্যের সঙ্গে সবাইকে পরিচয় করিয়ে দিতে চাচ্ছি। পাশাপাশি শ্রীলংকার ভিসা প্রসেসিংয়েরও সুযোগ থাকছে এখানে।”
মেলায় আজ আইএলও’র উদ্যোগে ‘ওয়ার্কশপ অন ট্যুরিজম টুলকিট’ শীর্ষক একটি কর্মশালা অনুষ্ঠিত হবে। কাল শনিবার শ্রীলংকা ও ফিলিপাইন এবং রোববার ইন্দোনেশিয়া দূতাবাসের উদ্যোগে সাংস্কৃতিক পরিবেশনা থাকবে।
প্রতিদিন সকাল ১১টা থেকে সন্ধ্যা ৭টা পর্যন্ত মেলা চলবে। শিক্ষার্থীরা ১০টাকা ও অন্যান্যরা ২০টাকা টিকেটের বিনিময়ে মেলায় প্রবেশ করতে পারবেন।