খবরদার আন্দোলনকারীদের যেন গ্রেপ্তার করা না হয়: প্রধানমন্ত্রী

খবরদার আন্দোলনকারীদের যেন গ্রেপ্তার করা না হয়: প্রধানমন্ত্রী

বিএনপিসহ সরকারবিরোধী বেশ কয়েকটি দল যখন আন্দোলনের ডাক দিয়ে রাজপথে কর্মসূচি বাড়াচ্ছে, সে সময় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কোনো ধরনের গ্রেপ্তার অভিযানে না নামার নির্দেশ দিয়েছেন।

গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ায় দেশে বিরোধীদের আন্দোলন হতে পারে উল্লেখ করে তিনি এও বলেছেন, সরকার পরিস্থিতি সামাল দিতে পারবে বলে বিশ্বাস তার আছে।

বলেছেন, আন্দোলনের নামে বাড়াবাড়ি দেশের ক্ষতির পাশাপাশি মানুষের কষ্ট বাড়াবে।

গণভবনে রোববার আওয়ামী লীগের আটটি বিভাগের সাংগঠনিক সম্পাদকগণের সঙ্গে আলোচনায় সূচনা বক্তব্য তিনি এসব কথা বলেন।

বিএনপিকে ইঙ্গিত করে ক্ষমতাসীন দলের নেতা বলেন, ‘তারা আন্দোলন করে কতটুকু সফল হবে জানি না। কিন্তু তারা যেভাবে করতে চাচ্ছে তাতে দেশের জন্য আরো ক্ষতি হবে। অপজিশনসহ নানা জনে নানা কথা বলবে, এর সুযোগ নেয়ারও চেষ্টা করবে। কিন্তু তারা যদি এসব বেশি করতে যায় তাহলে এর প্রভাবেই তো মানুষের কষ্ট আরো বাড়বে, এটাও তাদের বোঝা উচিত।’

বিরোধীদের অভিযোগ, বর্তমান সরকার দেশে দুর্নীতি করে অর্থনীতির ক্ষতি করছে, মানুষের ভোটাধিকার হরণ করেছে, মৌলিক মানবাধিকার পরিস্থিতিও ভালো নয়। এসব কারণে সরকার পতনের পাশাপাশি নির্দলীয় সরকারের অধীনে জাতীয় নির্বাচনের দাবি নিয়ে মাঠে নেমেছে তারা। সামনে বড় কর্মসূচি দেয়ার হুঁশিয়ারিও দেয়া হয়েছে।

অন্যদিকে আওয়ামী লীগও রাজপথে শক্তি দেখানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে। ১৭ আগস্ট একযোগে সব জেলা, উপজেলা এমনকি ইউনিয়নে সমাবেশের কর্মসূচি ঘোষণা করা হয়েছে।

সরকারপ্রধান বলেন, ‘আমাদের বিরোধী দল একটা সুযোগ পাচ্ছে, তারা আন্দোলন করবে, করুক। আমি আজকেও নির্দেশ দিয়েছি খবরদার যারা আন্দোলন করছে তাদের কাউকে যেন গ্রেপ্তার করা না হয় বা ডিস্টার্ব করা না হয়। তারা প্রধানমন্ত্রীর অফিসও ঘেরাও দেবে, আমি বলেছি, হ্যাঁ আসতে দেব। কেননা আমরা যে আন্তরিকতার সঙ্গে চেষ্টা করছি দেশের কাজ করতে দেশের মানুষ তো সেটা জানে।

শেখ হাসিনা বলেন, মানুষের কষ্ট যে হচ্ছে সেটা তাঁর সরকার উপলদ্ধি করতে পারছে বলেই প্রতিনিয়ত সেই কষ্ট লাঘবের প্রচেষ্টা অব্যাহত রেখেছে।

বিশ্ব বাজারে জ্বালানি তেলের দাম কমার সঙ্গে সঙ্গে এর দাম সমন্বয় করা হবে বলে ঘোষণা দেন শেখ হাসিনা। বলেন, ‘যখনই বিশ্ববাজারে তেলের দাম কমবে, আমরা সাথে সাথেই অ্যাডজাস্ট করবো, সেটাও আমার নির্দেশ রয়ে গেছে।’

দেশের কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রগুলোর উৎপাদন শুরু হলে বিদ্যুতের সমস্যাও অনেকটাই দূর হয়ে যাবে বলেও জানান সরকার প্রধান। বলেন, ‘হয়ত আর কিছুদিন আমাদের কষ্ট করতে হবে। আমাদের কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রগুলোর উৎপাদন শুরু হলে বিদ্যুতের এই সমস্যা অনেকটাই দূর হয়ে যাবে।’

সমসাময়িক সংকট কাটাতে বিশ্ব বাজারে জ্বালানি তেলের অস্বাভাবিক মূল্য বৃদ্ধির প্রেক্ষাপটে বিদ্যুৎ ব্যবহারে মিতব্যয়ী হবার পাশাপাশি উৎপাদন কমিয়ে আনায় তার সরকারের বিভিন্ন পদক্ষেপের কথা উল্লেখ করেন শেখ হাসিনা।

বাংলাদেশ শীর্ষ খবর