একসময় এশিয়ার সেরা ক্রিকেটীয় প্রতিভাদের মিলনমেলা দেখা যেত আফ্রো-এশিয়া কাপে। ২০০৫ এবং ২০০৭ সালে এই টুর্নামেন্টের দুটি আসর অনুষ্ঠিত হয়। যেখানে এশিয়ার সেরা ১১ ক্রিকেটার এশিয়া একাদশ নামের দলের হয়ে খেলতেন আফ্রিকা মহাদেশের সেরা ১১’কে দিয়ে গড়া আফ্রিকা একাদশের বিপক্ষে। দুই মহাদেশের সেরার সেরাদের লড়াইয়ের রোমাঞ্চ ছিল অন্যরকম। নানা জটিলতায় ২০০৭ সালের পর আর মাঠে গড়ায়নি এই টুর্নামেন্ট। তবে শোনা যাচ্ছে, ২০২৩ সালে ফের এই টুর্নামেন্ট আয়োজনের চেষ্টা করছেন আয়োজকরা।
মূলত রাজনৈতিক এবং সম্প্রচারগত জটিলতার কারণেই হারিয়ে গিয়েছিল আফ্রো-এশিয়া কাপ। ভারত-পাকিস্তানের অস্থিতিশীল রাজনৈতিক সম্পর্কও এক্ষেত্রে রেখেছিল বড় ভূমিকা। যেখানে দুই দেশ একে অপরের বিপক্ষে খেলতেই সম্মত হয় না, সেখানে তাদের একই দলে দেখার সম্ভাবনা আসলে কতটুকু?
এই প্রশ্নের জবাব দিয়েছেন এশিয়ান ক্রিকেট কাউন্সিলের (এসিসি) বাণিজ্যিক এবং অনুষ্ঠান প্রধান প্রভাকরণ থানরাজ। মার্কিন সাময়িকী ফোর্বসের সঙ্গে আলাপকালে তিনি বলেন, ‘বোর্ডগুলো এখনো আমাদের নিশ্চিত করেনি। আমরা এখনো (প্রস্তাবের) খসড়া তৈরি করছি, তারপর সেটা দুই বোর্ডের কাছে জমা দেওয়া হবে।’
‘আমরা এশিয়া একাদশে ভারত-পাকিস্তানের সেরা খেলোয়াড়দের চাই। এই বিষয়গুলো নিশ্চিত হওয়ার পর আমরা সম্প্রচার এবং বাণিজ্যিক দিকগুলোতে এগোব। এটা অনেক বড় পরিসরের আয়োজন হবে।’
আফ্রো-এশিয়া কাপের আগের দুই আসরে ভারত, পাকিস্তান এবং শ্রীলঙ্কার সঙ্গে বাংলাদেশেরও ছিল সরব অংশগ্রহণ। ২০০৫ সালে প্রথম সংস্করণে বাংলাদেশের প্রতিনিধিত্ব করেছিলেন মাশরাফি বিন মর্তুজা এবং মোহাম্মদ আশরাফুল, রিজার্ভ হিসেবে ছিলেন খালেদ মাসুদ পাইলট।
দ্বিতীয় আসরে ওয়ানডের সঙ্গে টি-টোয়েন্টিও যোগ হয়েছিল। ২০ ওভারের ফরম্যাটে বাংলাদেশের চার ক্রিকেটার ছিলেন এশিয়া একাদশে। আব্দুর রাজ্জাক, মাশরাফি মর্তুজা, মোহাম্মদ আশরাফুল এবং তামিম ইকবাল ছিলেন সেই একাদশের অংশ। আর ওয়ানডেতে অংশ নিয়েছিলেন মাশরাফি এবং মোহাম্মদ রফিক।
ফোর্বস জানিয়েছে, আগামী বছরের মাঝমাঝি সময়ে অনুষ্ঠিত হতে পারে আফ্রো- এশিয়া কাপ। শেষবার দুই ফরম্যাটে খেলা হলেও এবার থাকছে শুধু টি-টোয়েন্টি ফরম্যাট।