ওয়েস্ট ইন্ডিজের বোলারদের সামনে দাঁড়াতেই পারেনি বাংলাদেশের ব্যাটসম্যানরা। ৩২.৫ ওভারে গুটিয়ে যাওয়ার আগে করতে পেরেছে কেবল ১০৩ রান। ৬ ব্যাটারই খুলতে পারেননি রানের খাতা। আশার প্রদীপ হয়ে জ্বলছিলেন শুধু সাকিব আল হাসান। অধিনায়কের একার লড়াই থামে ফিফটি তোলার পর। ৫১ রানে আউট হন নবম ব্যাটসম্যান হিসেবে।
অ্যান্টিগার উইকেট অন্যান্য ব্যাটসম্যানদের জন্য যখন হয়ে উঠল মাইন ফিল্ড, সেখানে সাকিব সাবলীল ব্যাটিং করে ৬৭ বলে ৬ চার ও এক ছক্কায় ৫১ রানের ইনিংস খেললেন। টাইগারদের টেস্ট প্রমাণ করলেন, এমন উইকেটে ব্যাট করা কঠিন ছিল না। স্কিলের সৎ ব্যবহার করতে না পারাতেই ব্যাটিংয়ে আবারও ভরাডুবির কারণ হয়েছে।
প্রথম দিন শেষে সংবাদ সম্মেলনে সাকিবের কাছে জানতে চাওয়া হয় এমন লজ্জাজবক ব্যাটিং পারফরম্যান্সের ব্যাখ্যা। তিনি সাফ জানিয়ে দিলেন, কোনো ব্যাখ্যাই আসলে তার কাছে নেই।
তিনি বলেন, ‘ব্যাখ্যা করার কোনো সুযোগই আমি দেখি না। আসলে আমার কাছে কোনো ব্যাখ্যা নেই। জানি না অন্য কারোর কাছে আছে কি না। সাধারণত এখানে যা হয় কোচ-অধিনায়কদের কাজটা সহজ। ধরেন কেউ পারফর্ম করল না, বাদ দিয়ে দিলাম। আমি যদি মনে করি কোচ, অধিনায়ক, নির্বাচকদের জন্য এতা সবচেয়ে সহজ কাজ । তুমি পারফর্ম করছ না, বাদ দিয়ে দিলাম।’
সাকিব বলেন, ‘এখানে আসলে ব্যাটারদেরই দায়িত্ব নিতে হবে। তাদের কাজটা তাদেরই করতে হবে। কেউ এসে তাদের মুখে তুলে খাওয়ায়ে দিয়ে যাবে না। ব্যর্থ হয়েছে। আশা করি, তারা দ্বিতীয় ইনিংসে এমনভাবে কামব্যাক করবে, যাতে করে তারা পুনরুদ্ধার করতে পারে।’
প্রথম দিন শেষে চালকের আসনে থাকা ক্যারিবীয়রা ২ উইকেটে করেছে ৯৫ রান। আর ৯ রান করলেই তারা লিড পাবে। এমন অবস্থায় বাংলাদেশ দলের সামনে কেমন সুযোগ থাকছে তাও অকপটে বলে দিলেন সাকিব। বলেন, ‘দেখুন এখানে দলের দুইটা সুযোগ আছে। একটা হচ্ছে ওদের ছেড়ে দিয়ে যতো ইচ্ছা রান করতে দেয়া। তারপর আমরা দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাট করে খেলা শেষ হয়ে গেল। আরেকটা হচ্ছে আমরা চেষ্টা করলাম। যদি ওদেরকে একশ, দেড়শ, দুইশ রানের ভেতর অল আউট করতে পারি, এমনকি আড়াইশর ভেতর অলআউট করতে পারি- তখন যদি আমরা দ্বিতীয় ইনিংসে যদি ভালো ব্যাটিং করি। শেষ ইনিংসে এখানে কি হবে আমরা তো জানি না। প্রতিদিনই নতুন একটা দিন।’