দুবাইয়ে বেসরকারি উদ্যোগে আয়োজিত ফেয়ারব্রেক আমন্ত্রণমূলক ফ্রাঞ্চাইজি টি-টোয়েন্টি আসরে দুই বাংলাদেশির লড়াইয়ে রুমানার বিপক্ষে জয়ী হয়েছেন জাহানারা। রুমানার আর্মি আর্মিংকে ৮ উইকেটে হারিয়েছে জাহানারার ফ্যালকন। বার্মি আর্মির করা ৩ উইকেটে ১৫২ রান ফ্যালকন টপকে যায় ১৭.৩ ওভারে ২ উইকেট হারিয়ে। আসরে ফ্যালকনের এটি ছিল দ্বিতীয় জয়। প্রথম ম্যাচেও তারা ৮ উইকেটে জয়ী হয়েছিল ওয়ারিয়ার্সের বিপক্ষে। অপরদিকে রুমানাদের এটি ছিল দ্বিতীয় ম্যাচে প্রথম হার। প্রথম ম্যাচে তারাও জিতেছিল ৮ উইকেটে। হারিয়েছিল স্প্রিট ওমেনকে।
শুক্রবারের (৬ মে) ম্যাচে ফ্যালকনের হয়ে জাহানার আলম দারুণ বোলিং করেছেন। তিনি ৪ ওভারে ২৬ রান দিয়ে একটি উইকেট নেন। ডট বল দেন ১০টি। প্রথম ম্যাচে প্রথম ৩ ওভারে তিনি রান দিয়েছিলেন ১৮, এই ম্যাচেও প্রথম ৩ ওভার রান দেন ১৭। প্রথম ম্যাচে শেষ ওভারে রান দিয়েছিলেন ১৭, এই ম্যাচে শেষ ওভারে রান দেন ৯। জাহানারা নামের প্রতি সুবিচার করতে পারলেও রুমানা কিন্তু নামের প্রতি সুবিচার করতে পারেননি। প্রথম ম্যাচে দুর্দান্ত বোলিং করেছিলেন। ৪ ওভারে রান দিয়েছিলেন মাত্র ৭। যদিও তিনি কোনো উইকেট পাননি। কিন্তু আজ তিনি ছিলেন খুবই বেহিসেবি। ২ ওভারে ২২ রান দেওয়ার পর তাকে দিয়ে পরে আর বোলিংই করানো হয়নি।
টস হেরে ব্যাট করতে নেমে বার্মি আর্মি দ্রেন্দ্রা ডট্টিনের ৫৯ বলে ২ ছক্কা ও ১২ চারে অপরাজিত ৮০ রানের সুবাদে ৩ উইকেট হারিয়ে করে ১৫২ রান। দলের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ রান ছিল ডট্টিনের পার্টনার কাভিসা এগোডেজের ২৪। জবাব দিতে নেমে অধিনায়ক ডেন্নি ওয়েটের ৪৯ বলে ৪ ছক্কা ও ৬ বাউন্ডারিতে অপরাজিত ৭৬ ও প্রথম ম্যাচের সেঞ্চুরিয়ান চামারা আত্তাপাত্তুর ৪২ রানের সঙ্গে ব্রিটনি কোপারের মারমুখি ২৩ বলে ১ ছক্কা ও ২ চারে অপরাজিত ৩২ রানে ফ্য্যালকন ১৫ বল হাতে রেখেই ২ উইকেট হারিয়ে লক্ষ্যে পৌঁছে যায়। ২ জয়ে ফ্যালকন সেমি-ফাইনালের পথে অনেকটা এগিয়ে গেল। ম্যাচ সেরা হন ডেন্নি ওয়েট।
আসরের প্রথম বল করা জাহানার এই ম্যাচেও বল হাতে ইনিংসের সূচনা করেন। প্রথম ওভারে তিনি ৫টি ডট বল দিয়ে একটি বাউন্ডারি হজম করেন। ভুটানের আনু গোরাঙ্গ তার প্রথম ওভার মেডেন নেন। জাহানারা তার দ্বিতীয় ওভারে ৩টি ডট বল দিয়ে ৩টি সিঙ্গেল রান দেন। ইনিংসের ১৭ নাম্বার ওভারে জাহানারা নিজের তৃতীয় ওভার করতে এসে ১টি ডট বল দিলেও ১টি বাউন্ডারি হজম করে রান দেন ১০। এরপর ইনিংসের শেষ ওভার করতে এসে জাহানারা ১টি উইকেট পান। বাউন্ডারি হজম করেন ২টি। আর ডট বল দেন ২টি।
রুমানা প্রথম ম্যাচের মতো এই ম্যাচেও ব্যাট করার সুযোগ পাননি। প্রথম ম্যাচে বল হাতে প্রশংসনীয় কুড়ালেও এই ম্যাচে তা ধরে রাখতে পারেননি। প্রথম ওভারে ১২ ও দ্বিতীয় ওভারে ১০ রান দেওয়ার পর অধিনায়ক হেথার নাইট তাকে আর আক্রমণেই নিয়ে আসেননি। রুমানা ব্যাটিং পাওয়ার প্লের শেষ ওভারে প্রথম বল তুলে নেন হাতে। ২টি ডট বল দিয়েও ২টি বাউন্ডারির সঙ্গে বাকি ২ বলে ৩ ও ১ রান দিয়ে মোট মোট ১২ রান দেন। এরপর ১২ নাম্বারে ওভারে নিজের দ্বিতীয় ওভার করতে এসে প্রথম ৩ বলেই ৫ রান দেন। পরের বলে কোনও রান না দিলেও শেষ ২ বলে ১টি বাউন্ডারিসহ ৫ রান দেন। ওভারে তিনি রান দেন ১০।