পরিসংখ্যান, সাম্প্রতিক ফর্ম সব দিক দিয়েই স্ত্রাসবুরের চেয়ে যোজন যোজন এগিয়ে পিএসজি। কিন্তু লিগ ওয়ানে শুক্রবার রাতে সেই দলটির কাছেই ফরাসি ক্লাবটি খেয়েছে হোঁচট। কিলিয়ান এমবাপের দুর্দান্ত নৈপুন্যের পরও দলটি ড্র নিয়ে ছাড়ে মাঠ।
লিগ ওয়ানে শুক্রবার রাতের রোমাঞ্চকর ম্যাচটি ৩-৩ গোলে ড্র হয়েছে। জোড়া গোল করা এমবাপে অবদান রাখেন আশরাফ হাকিমির গোলে।
শুক্রবার শুরুতেই পিএসজি স্তব্ধ করে দেয় স্ত্রাসবুর। দ্বিতীয় মিনিটেই দলটিকে এগিয়ে নেন কেভিন গামেইরো। প্রতিপক্ষের মাঠে দ্বিতীয় মিনিটে পিছিয়ে পড়ে পিএসজি। দারুণ গতিতে প্রেসনেল কিম্পেম্বেকে পেছনে ফেলে লুকাস পেরিনের পাস নিয়ন্ত্রণে নিয়ে জাল খুঁজে নেন গামেইরো।
ধীরে ধীরে নিজেদের গুছিয়ে নিয়ে আক্রমণে যায় পিএসজি। ১৮তম মিনিটে প্রথম সুযোগ পায় তারা। তবে নেইমারের কর্নারে হেড লক্ষ্যে রাখতে পারেননি সার্জিও রামোস। এর পাঁচ মিনিট পর চমৎকার ফিনিশিংয়ে সমতা আনেন এমবাপে। পিএসজির রক্ষণে পেরিন বল হারালে পেয়ে যান কিম্পেম্বে। তার বাড়ানো বল ধরে কিছুটা এগিয়ে মাঝমাঠ থেকে বাঁয়ে এমবাপেকে খুঁজে নেন নেইমার। আড়াআড়ি ভেতরে ঢুকে কাছের পোস্ট দিয়ে জাল খুঁজে নেন ফরাসি ফরোয়ার্ড।
একটু পর লিওনেল মেসির ফ্রি কিক কর্নারের বিনিময়ে ফেরান গোলরক্ষক। ৩১তম মিনিটে ব্যর্থ করে দেন নেইমারের শট।
বিরতির পর ৬৪তম মিনিটে এগিয়ে যায় পিএসজি। নেইমারের ডিফেন্স চেরা পাসে কাট ব্যাক করেন এমবাপে। পেনাল্টি স্পটের কাছ থেকে বাকিটা সারেন হাকিমি। চার মিনিট পর ব্যবধান আরও বাড়ান এমবাপে। মাঝমাঠ থেকে গোলরক্ষকের উদ্দেশ্যে দুর্বল ব্যাক পাস দেন জিকু। অনায়াসে বল নিয়ন্ত্রণে নিয়ে ঠিকানা খুঁজে নেন এমবাপে। আসরের সর্বোচ্চ গোলদাতার এটি ২৪তম গোল।
৭৫তম মিনিটে সৌভাগ্যের ছোঁয়ায় ব্যবধান কমায় স্ত্রাসবুর। কর্নার থেকে হাবিব দিয়ালোর হেড ভেরাত্তির গায়ে লেগে দিক পাল্টে জালে জড়ায়। তেমন কিছু করার ছিল না দোন্নারুম্মার।
এদিকে যোগ করা সময়ের দ্বিতীয় মিনিটে খুব কাছ থেকে চমৎকার ফিনিশিংয়ে জাল খুঁজে নেন কেসি। যে কারণে ম্যাচটি শেষ হয় সমতায়। তাই ৩৫ ম্যাচে ২৪ জয় ও ৭ ড্রয়ে পিএসজির পয়েন্ট হল ৭৯।