ইউক্রেনে রুশ সৈন্যদের উল্লেখযোগ্য ক্ষতি হয়েছে বলে স্বীকার করেছে রাশিয়া। ইউক্রেনে রুশ আক্রমণের ৪৪তম দিন চলছে।
রাশিয়ান প্রেসিডেন্টের মুখপাত্র দিমিত্রি পেসকভ ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম স্কাই নিউজকে বলেন, এ হতাহতের ঘটনা আমাদের জন্য একটি বড় ট্র্যাজেডি।
তবে মস্কো ‘আগামী দিনগুলোতে’ যুদ্ধের লক্ষ্য পূরণে সক্ষম হবে বলেও আশা প্রকাশ করেন তিনি।
বুচা শহরে গণহত্যার জন্য রাশিয়ান সৈন্যদের দায়ী করা অভিযোগ অস্বীকার করে পেসকভ বলেন, আমরা ভুয়া ও মিথ্যার মধ্যে বাস করছি।
তিনি ভিত্তিহীনভাবে দাবি করেন, শহরটিতে বেসামরিক নাগরিকদের হত্যার ছবি সাজানো।
তবে তিনি স্বীকার করেছেন, রাশিয়ার সৈন্যদের উল্লেখযোগ্য হতাহত হয়েছে।
২৫ মার্চ রাশিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় বলেছে, তাদের ১ হাজার ৩৫১ সৈন্য যুদ্ধে নিহত হয়েছে। তবে ইউক্রেন দাবি করেছে, নিহত রাশিয়ান সৈন্যের সংখ্যা ১৯ হাজার।
রুশ ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ নিয়ে রাশিয়া বা ইউক্রেনের দাবিকে স্বাধীনভাবে যাচাই করা যায়নি। বিশ্লেষকরা অবশ্য সতর্ক করে বলেছেন, রাশিয়া তার হতাহতের সংখ্যা কমিয়ে বলছে। অন্যদিকে ইউক্রেন মনোবল বাড়াতে এটি বাড়িয়ে বলতে পারে।
পশ্চিমা নেতারা ধারণা করছেন, যুদ্ধে সাত থেকে ১৫ হাজার রুশ সেনা নিহত হয়েছে।
২০০০ সাল থেকে রাশিয়ার রাষ্ট্রপতি ভ্লাদিমির পুতিনের মুখপাত্র হিসেবে কাজ করেছেন পেসকভ। তিনি দাবি করেছেন, রাশিয়া যুদ্ধ শেষ করার উপায় খুঁজছে।
পেসকভ বলেন, আমাদের সামরিক বাহিনী অভিযানের অবসান ঘটাতে যথাসাধ্য চেষ্টা করছে। আমরা আশা করি- আগামী দিনে, অদূর ভবিষ্যতে, অভিযানটি লক্ষ্যে পৌঁছাবে অথবা রাশিয়ান ও ইউক্রেনীয় প্রতিনিধিদের মধ্যে আলোচনার মাধ্যমে এটি শেষ হবে।
রাশিয়া কিয়েভ থেকে সৈন্য প্রত্যাহার এবং যুদ্ধের বেশির ভাগ নজর পূর্ব ইউক্রেনে সরিয়ে নিয়েছে, কিন্তু যুদ্ধ শেষ হওয়ার কোনো লক্ষণ দেখা যাচ্ছে না।
খবর বিবিসি