কপ২৬ সম্মেলনের সময় বাড়লো

কপ২৬ সম্মেলনের সময় বাড়লো

বৈশ্বিক তাপমাত্রা বৃদ্ধি রোধ এবং জলবায়ু পরিবর্তনের ক্ষতি মোকাবিলায় দরিদ্র দেশগুলোকে আর্থিক সহায়তা বাড়ানোর বিষয়ে চুক্তি চূড়ান্ত না হওয়ায় বাড়তি সময়ে গড়াল জাতিসংঘের কপ২৬ সম্মেলন। দুই সপ্তাহব্যাপী সম্মেলন শুক্রবার (১২ নভেম্বর) শেষ হয়ে যাওয়ার কথা থাকলেও আজ শনিবারও (১৩) আলোচনায় বসতে হচ্ছে সমঝোতাকারীদের।

জাতিসংঘের জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলা বিষয়ক সম্মেলন কপ২৬-এর একটি খসড়া চুক্তি শুক্রবার প্রকাশ করা হয়েছে। কিন্তু বৈশ্বিক উষ্ণতা বৃদ্ধি ১ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াসে সীমাবদ্ধ রাখা এবং ক্ষতিগ্রস্ত দরিদ্র দেশগুলোর জন্য ধনীদের আর্থিক সহায়তা দেওয়ার বিষয়ে এখনো ঐকমত্য না হওয়ায় চূড়ান্ত চুক্তি আটকে গেছে।

কপ২৬’র প্রেসিডেন্ট অলোক শর্মা সম্মেলনে অংশগ্রহণকারী দেশগুলোর সমঝোতাকারীদের স্কটল্যান্ডের গ্লাসগো শহরে শনিবার আবারও আলোচনায় বসার আহ্বান জানিয়েছেন। তিনি বলেছেন, গত দুই সপ্তাহে আমরা অনেক দূর এগিয়েছি এবং এখন আমাদের সেই ‘করতে পারি’ চেতনার চূড়ান্ত প্রয়োগ দরকার, যা এই কপ২৬ সম্মেলনে রয়েছে।

খসড়া চুক্তিতে বলা হয়েছে, সব দেশ তাদের লক্ষ্যমাত্রার ব্যবধান পূরণের প্রয়াসে আগামী বছর আরও কঠোর জলবায়ু প্রতিশ্রুতি ঘোষণা করবে। তবে গ্যাবনের বন ও জলবায়ু পরিবর্তনবিষয়ক মন্ত্রী লি হোয়াইট অভিযোগ করেছেন, আলোচনায় ‘অচলাবস্থায়’ তৈরি হয়েছে এবং এর জন্য যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপীয় ইউনিয়ন দায়ী। তার কথায়, বৈশ্বিক উষ্ণায়নের প্রভাব মোকাবিলায় ক্ষতিপূরণের বিষয়ে ধনী ও দরিদ্র দেশগুলোর মধ্যে আস্থার অভাব রয়েছে।

গত ৩১ অক্টোবর থেকে শুরু হয়েছে বহুল প্রত্যাশিত কপ২৬ জলবায়ু সম্মেলন। এই সম্মেলন থেকে জলবায়ু পরিবর্তনের ঝুঁকি মোকাবিলায় বিশ্বনেতাদের ঐক্যবদ্ধ ঘোষণা আসতে পারে বলে আশা করা হচ্ছে। এবারের সম্মেলনে অংশ নিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন, ফরাসি প্রেসিডেন্ট এমান্যুয়েল ম্যাক্রোঁ, ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন, ভারতীয় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী প্রমুখ। বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাও অংশ নিয়েছেন বহুল আলোচিত এই সম্মেলনে। সেখানে তিনি বাংলাদেশি প্রতিনিধি দলের পাশাপাশি জলবায়ু পরিবর্তনে ভয়াবহ ক্ষতির হুমকিতে থাকা ৫৫টি দেশের জোট ক্লাইমেট ভালনারেবল ফোরামেরও নেতৃত্ব দিচ্ছেন।

বাংলাদেশ শীর্ষ খবর